ঢাকা, ১০ কার্তিক (২৬ অক্টোবর) :

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ২৭ অক্টোবর বিএসএমএমইউ-এর গবেষণা
দিবস উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :

“বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (BSMMU) তৃতীয়বারের মতো
‘গবেষণা দিবস’ উদযাপন করতে যাচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষ্যে আমি এই
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে
আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সদ্য
স্বাধীন যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের মৌলিক অবকাঠামো পুনর্গঠনের পাশাপাশি দেশের
মানুষের সু-স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসা গবেষণাকে বিশেষভাবে
গুরুত্ব দিয়েছিলেন। জাতির পিতার সেই পদাঙ্ক অনুসরণ করে আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯৮
সালে বাংলাদেশে প্রথম বারের মতো মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে, যার মূল
লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের মানুষের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা গবেষণার
বুনিয়াদ সৃষ্টি করা। এ প্রতিষ্ঠানটি মানসম্পন্ন গবেষণা কর্ম সম্পাদন করবে এবং দেশের
রোগাক্রান্ত মানুষের জন্য উন্নততর স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করবে
। বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেবার পর থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল
বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশেষ করে এর গবেষণা ও শিক্ষা কর্মকাণ্ডকে প্রাধিকারমূলক
কর্মসূচির আওতায় রেখেছে এবং সে অনুসারে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। কেননা নিজস্ব গবেষণা
ব্যতীত দীর্ঘস্থায়ী ও যুগোপযোগী চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠা করা দুরূহ ব্যাপার।
বর্তমান সরকার সকলের জন্য গণমুখী স্বাস্থ্যব্যবস্থা প্রণয়ন করেছে।

হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা, সাধারণ হাসপাতাল ও বিশেষায়িত হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা এবং
বিশেষায়িত চিকিৎসাসেবা বহুগুণে বৃদ্ধি করা হয়েছে। তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত কমিউনিটি
ক্লিনিক এর মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা বিস্তৃত করা হয়েছে। নতুন নতুন মেডিক্যাল কলেজ
প্রতিষ্ঠা করে মেডিক্যাল শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যাপক সম্প্রসারণ করা হয়েছে। একই সাথে
চিকিৎসা গবেষণার গুরুত্ব আরো বেড়ে গেছে।

বাংলাদেশের মানুষের চিকিৎসাসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব
মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। আমি আশা করি চিকিৎসা
গবেষণাতেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় নেতৃত্ব দেবে।
এ পরিপ্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা দিবস
২০২১ উদ্‌যাপন খুবই সময়োপযোগী পদক্ষেপ, যা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত গবেষক,

চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্ট সকলকে যেমনি অনুপ্রাণিত করবে, তেমনি দেশের অন্যান্য
চিকিৎসকবৃন্দকে চিকিৎসাসেবায় উদ্বুদ্ধ করবে। ফলে আমরা দেশে সমন্বিত উন্নয়নের
গতিধারার সাথে তাল মিলিয়ে সুস্থ, সবল ও কর্মক্ষম জাতি গঠনে সমর্থ হব ইনশাল্লাহ।
আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘গবেষণা দিবস-২০২১’
উপলক্ষ্যে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী
হোক।”