আব্দুল্লাহ শেখ সবুজ বাংলাদেশ
স্টাফ রিপোর্টারঃ
প্রবীণ রাজনীতিবিদ, বিকল্পধারার প্রেসিডেন্ট ও সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী আর নেই। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন।
শুক্রবার রাত ৩টা ১৫ মিনিটে নিজের প্রতিষ্ঠিত উত্তরা মহিলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
আজ শনিবার ৫ অক্টোবর ২০২৪ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তার প্রতিষ্ঠিত উত্তরা মহিলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে প্রথম জানাজা হবে।
এরপর বাদ জোহর বারিধারা কূটনৈতিক এলাকার ৮ নম্বর সড়কে অবস্থিত বায়তুল আতিক জামে মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। শেষে তার মরদেহ ঢাকাতেই সংরক্ষণ করা হবে বলে জানা গেছে।
আগামীকাল রোববার ৬ অক্টোবর ২০২৪ সাবেক রাষ্ট্রপতির শবদেহ নিজগ্রাম মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে নেয়া হবে। সেখানে সকাল ১০টায় শ্রীনগর স্টেডিয়ামে তৃতীয় জানাজা এবং বাদ জোহর গ্রামের বাড়ি মজিদপুর দয়াহাটায় চতুর্থ জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
গত ২ অক্টোবর একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে উত্তরা মহিলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে শুক্রবার রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়ার তথ্য জানান ছেলে মাহী বি চৌধুরী। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর ৩টা ১৫ মিনিটে মৃত্যুবরণ করেন সাবেক এই রাষ্ট্রপতি। ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি।
একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর পৈত্রিক বাড়ি মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার মজিদপুর দয়াহাটায়। তিনি ১৯৩০ সালের ১১ অক্টোবর কুমিল্লা শহরে (প্রখ্যাত মুন্সেফ বাড়ি) নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা অ্যাডভোকেট কফিল উদ্দিন চৌধুরী কৃষক প্রজা পার্টির সহ-সভাপতি, যুক্তফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক ও তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন।
বি. চৌধুরী একজন খ্যাতিমান চিকিৎসক ছিলেন। ১৯৭৮ সালে তিনি জিয়াউর রহমানের অনুরোধে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। ১৯৭৯ সালে তিনি শ্রীনগর থেকে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর কেবিনেট মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯১ সালে দ্বিতীয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং প্রথমে শিক্ষামন্ত্রী ও পরে সংসদ উপনেতা মনোনীত হন তিনি। ১৯৯৬ সালে তিনি সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতার দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ ২০০১ সালে তিনি পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং একই বছরের অক্টোবর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত তৎকালীন বিএনপি সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী ২০০১ সালের ১৪ নভেম্বর বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। রাজনৈতিক কারণে ২০০২ সালের ২১ জুন রাষ্ট্রপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন তিনি।
প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ ২০০৪ সালের ৮ মে বিকল্পধারা বাংলাদেশ নামে রাজনৈতিক দল গঠন করেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি বিকল্পধারা বাংলাদেশ দলটির প্রেসিডেন্টের পদে আসীন ছিলেন।