গত বছর বিদ্যুৎ ক্রয়ে নেপাল ও ভারতের সাথে একটি চুক্তি করেছিল বাংলাদেশ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে নেপাল থেকে বিদ্যুৎ ক্রয়ের আলোচনা করছে বাংলাদেশ। তবে বিদ্যুতের মূল্য নিয়ে উভয় দেশের মাঝে দর কষাকষি চলছে।
নেপালের বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিপণন সংক্রান্ত কর্তৃপক্ষ নেপাল ইলেকট্রিসিটি অথরিটির (এনইএ) সূত্রে দেশটির জাতীয় দৈনিক দ্য কাটমান্ডু পোস্ট এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
কাটমান্ডু পোস্ট জানিয়েছে, এনইএ-এর এক কর্মকর্তা বলেছেন, আমরা বিদ্যুতের যে মূল্য প্রস্তাব করেছি, তা যৌক্তিক মনে করেই প্রস্তাব করেছি। কিন্তু বাংলাদেশ তাতে সম্মত হয়নি। সেজন্য তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে এ বিষয়ে আলোচনা করতে চায়।
গত সপ্তাহে এনইএ-এর নির্বাহী পরিচালক কুল মান ঘিসিংয়ের নেতৃত্বে একটি দল বাংলাদেশে ছিল। সেখানে তারা মূল্য প্রস্তাব করেছে। তবে কর্তৃপক্ষ এখনো তা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেনি। তবে এনইএ-এর একটি সূত্রে জানা গেছে, প্রতিনিধি দল প্রতি ইউনিটের দাম ৯ দশমিক ৩০ নেপালি রুপি প্রস্তাব করেছে, যা বাংলাদেশী মুদ্রায় ৭ দশমিক ৬৮ টাকা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘গত সপ্তাহে বাংলাদেশে গমনকারী প্রতিনিধিদলে আমি ছিলাম না। তবে আমি শুনেছি, বাংলাদেশ প্রতি ইউনিটে ৫ নেপালি রুপি ধার্য করার প্রস্তাব দিচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত বছর মে মাসে নেপাল ইলেকট্রিসিটি অথরিটি এবং ভারতের তাপ বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিপণন সংস্থা এনটিপিসির সাথে বিদ্যুৎ ক্রয়ের ৫ বছর মেয়াদী একটি চুক্তি করে বাংলাদেশের সরকার। ওই চুক্তি অনুযায়ী ভারতীয় সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রতি বছর ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাঠাবে নেপাল। ভারত-নেপাল সীমান্তের ধালকেবার-মুজাফফরপুর থেকে লাইন বা তারের মাধ্যমে কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা দিয়ে বাংলাদেশে পৌঁছাবে বিদ্যুৎ।