ব্রাজিলের (ব্রাসিলিয়া), ১৮ মার্চ :

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস
উপলক্ষ্যে ১৭ মার্চ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্‌যাপন করা হয়।
ব্রাজিলের ব্রাসিলিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস, কানাডার অটোয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন,
পর্তুগালের লিসবনে বাংলাদেশ দূতাবাস, কানাডার বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল টরন্টোতে, গ্রিসের
এথেন্সে বাংলাদেশ দূতাবাস, জামানির বার্লিনে বাংলাদেশ দূতাবাস, জর্ডানের আম্মানে বাংলাদেশ
দূতাবাস, বাংলাদেশ কনস্যূলেট জেনারেল মায়ামী, অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় বাংলাদেশ হাইকমিশন
এবং মেক্সিকোর মেক্সিকো সিটি বাংলাদেশ দূতাবাস জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের
১০২ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস নিজ নিজ উদ্যোগে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে যথাযথ
মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে উদ্‌যাপন করে।
এসব দেশে বাংলাদেশ দূতাবাস ও হাইকমিশনে জাতীয় সংগীত ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের
মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয় এবং দূতাবাস ও হাইকমিশনে অস্থায়ীভাবে নির্মিত জাতির পিতা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র
প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। এরপর বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে
বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের হাইকমিশনার ও রাষ্ট্রদূতগণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর
রহমানের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ও সংগ্রামমুখর জীবন, কর্ম, আদর্শ এবং একটি স্বাধীন দেশ গঠনে
তাঁর ভূমিকা ও অবদানের কথা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। এছাড়া শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর
অপরিসীম ভালবাসা ও মমত্ববোধের কথা বক্তারা অনুষ্ঠানে জানান। শিশু দিবসের গুরুত্ব ও শিশুদের
জন্য বর্তমান সরকারের মাইলফলক অর্জনসমূহ্ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বিষয়ে বাংলাদেশের
হাইকমিশনার ও রাষ্ট্রদূতগণ গুরুত্বসহকারে আলোচনা করেন। তাঁরা বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে
বাংলাদেশকে স্বাধীন করা যেত না। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একে অপরের পরিপূরক। বঙ্গবন্ধুর
আদর্শ ও নেতৃত্বের গুণাবলী ধারণ করে তাঁর কণ্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের
জন্য অর্থনৈতিক মুক্তির পাশাপাশি শিশুদের সুনাগরিক এবং দেশপ্রেমিক হিসেবে গড়ে তুলতে
প্রয়োজনীয় সবকিছুই নিশ্চিত করছেন।
জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে এসব দেশে চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়
এবং বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। জাতির পিতার বর্ণাঢ্য জীবন ও কর্মের উপর
নির্মিত একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শণ করা হয়।

অনুষ্ঠান শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্যদের,
মুক্তিযুদ্ধে সকল শহিদ এবং বাংলাদেশের অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।