মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের লাগাতার নিষেধাজ্ঞার পরও ইরান বিশ্বকে চমকে দিচ্ছে একের পর এক অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর ক্ষেপণাস্ত্র তৈরী করে।
এবার ইরান তার প্রথম হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র উদ্বোধন করেছে। এটি পাশ্চাত্য ও আশপাশের অঞ্চলের বিরুদ্ধে ইরানকে সামরিক ক্ষেত্রে বেশ এগিয়ে রাখবে বলে ইরানি মিডিয়ায় ঘোষণা করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানী তেহরানে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ‘ফাত্তাহ’ নামের এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রকাশ্যে আনা হয়। এ সময় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং ইসলামিক রেভুলশনারি গার্ড কোরের সিনিয়র কমান্ডাররা উপস্থিত ছিলেন।
আইআরজিসির অ্যারোস্পেস প্রধান আমির আলী হাজিজাদেহ বলেন, ফাত্তাহ ক্ষেপণাস্ত্র ‘বিভিন্ন দিক ও বিভিন্ন উচ্চতায় অবস্থান করায় অন্য কোনো ক্ষেপণাস্ত্র এটিকে ধ্বংস করতে পারবে না।’
তিনি বলেন, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খোমেনি এর এই নামকরণ করেছেন। এর অর্থ হলো ‘উদ্বোধক’ বা ‘বিজয়ী।’ এটি ১২-১৩ (সেকেন্ডে ৫,১৪৫ মিটার বা ১৬,৮৮৮ ফুট) গতিতে এবং প্রায় ১,৪০০ কিলোমিটার (৮৭০ মাইল) পাল্লায় ছুটতে পারে।
এটি শব্দের চেয়ে ১০ গুণ বেশি শক্তিতে চলতে পারে বলেও মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে।
ইরান মাত্র দুই সপ্তাহ আগে তার সর্বশেষ ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা সম্পন্ করে। এর পাল্লা দুই হাজার কিলোমিটার। এই পরীক্ষা যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্সসহ পাশ্চাত্যের দেশগুলোর মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করে।
এখন ফাত্তাহ সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র বেশির ভাগ পাশ্চাত্য শক্তি ও দেশকে আরো বেশি উদ্বেগে ফেলবে। প্রতিবেশী দেশগুলোর চেয়েও এ ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে গেল ইরান।
উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত সফলভাবে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র যেসব দেশ সফলভাবে পরীক্ষা করেছে, তাদের মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন ও উত্তর কোরিয়া। সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর