ঢাকা, ১৪ শ্রাবণ (২৯ জুলাই) :
এবছর ব্রি হাইব্রিড-৭ জাতের আউশ ধানে রেকর্ড ফলন হয়েছে। ক্রপ কাটিংয়ে বিঘায় ফলন পাওয়া গেছে ২৩ মণ। যা আউশ মৌসুমের অন্য যে কোন জাতের চেয়ে অনেক
বেশি।গতকাল ভোলা জেলার রাজাপুর ইউনিয়নে চরমনসা গ্রামের সবুজ বাংলা কৃষি খামারে ব্রি হাইব্রিড-৭ জাতের প্রদর্শনী প্লটের ধান কর্তন ও মাঠ দিবসের অনুষ্ঠানে এ তথ্য
পাওয়া যায়। ভোলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে ভোলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবু মোঃ এনায়েত
উল্লাহর সভাপতিত্বে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: আসাদুল্লাহ, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মোঃ শাহজাহান কবীর ও কৃষি সম্প্রসারণ
অধিদপ্তরের সরেজমিন উইংয়ের পরিচালক একে এম মনিরুল আলম ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন। ভোলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানানো হয়, চরমনসা গ্রামের কৃষক মোঃ ইয়ানুর
রহমান বিপ্লবের ৮ হেক্টর জমির প্রদর্শনী প্লটে ব্রি হাইব্রিড-৭ জাতের বীজ বপন করা হয়েছিল চলতি এ বছরের ৮ এপ্রিল। চারা রোপন করা হয়েছিল ৩ মে। আর কম্বাইন
হারভেস্টারের মাধ্যমে গতকাল ২৮ জুলাই ধান কর্তন করা হয়েছে। জীবন কাল ১১০ দিন।হেক্টর প্রতি ধানের ফলন ৭ মেট্রিক টন (বিঘায় ২৩ মণ)। আর চালের হিসাবে হেক্টর প্রতি
৪.৬০ মেট্রিক টন। শস্য কর্তনের ফলাফলে আরও জানান হয়, ধান কাটার পর মাঠ থেকেই কাঁচা অবস্থায় ৭৫০ টাকা মণ দরে বিক্রয় হয়েছে। হেক্টর প্রতি উৎপাদন খরচ হয়েছে ৬০ হাজার টাকা।
খরচ বাদে হেক্টর প্রতি কৃষকের লাভ ৭০ হাজার টাকা। সে হিসাবে ৮ হেক্টর জমিতে ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা লাভ হবে।