সবুজ বাংলাদেশ প্রতিবেদন:
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন আগামীকাল (শনিবার)। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে বেলা দুইটায় সম্মেলন শুরু হবে।
উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি। প্রধান অতিথি থাকবেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
প্রধান বক্তা থাকবেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি। বক্তা থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
লক্ষাধিক নেতাকর্মীর জমায়েতের লক্ষ্য নিয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ তাদের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, ঢাকা জেলার এই সম্মেলন শুধু সম্মেলন থাকবে না। হয়ে উঠবে জনসভায়। পরোক্ষভাবে বিএনপির কয়েকটি সমাবেশের জবাবও এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে দেওয়া হবে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের শুক্রবার বিফ্রিংয়ে বলেন, তিন সমাবেশ দেখিয়ে বিএনপি নেতারা আনন্দে আত্মহারা। তারা বলছেন, তাদের সমাবেশে নাকি সরকারের কাঁপাকাঁপি শুরু হয়ে গেছে। এখানে সরকারের কাঁপাকাঁপির কী আছে? কোনো কোনো সমাবেশে দশ লাখের টার্গেট করেও এক লাখ হয়নি, আবার কোথাও পাঁচ লাখ টার্গেট করেও এক লাখেরও অর্ধেকও হয়নি। এটাই তো বিএনপির সমাবেশের চেহারা।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগরীতে ওয়ার্ড ও থানার সম্মেলনে কত হাজার লোক হয়েছে তা দেখুন, যা পত্র-পত্রিকা ও মিডিয়ায় প্রচারিত হয়েছে। জনসমাগম কাকে বলে, তা শনিবার থেকে বিএনপিকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
শুক্রবার সরেজমিন দেখা যায়, সম্মেলনস্থলের মাঠে নৌকার আদলে মঞ্চ তৈরির কাজ প্রায় শেষের দিকে। ইতোমধ্যে ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টারে ছেয়ে গেছে সম্মেলনস্থল। তৈরি হয়েছে শুভেচ্ছা ও স্বাগতম তোরণ। আয়োজকদের সাজসজ্জার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টি কাড়তে পদপ্রত্যাশীরা যারপরনাই প্রচার চালাচ্ছে। নিজেদের ছবিসংবলিত পোস্টার, ফেস্টুন লাগিয়েছেন আশপাশের এলাকায়।
সম্মেলন সফল করতে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। সম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে জেলার পাঁচটি উপজেলার মধ্যে ধামরাই উপজেলা, সাভার উপজেলা, আশুলিয়া থানা, কেরানীগঞ্জ উপজেলা, কেরানীগঞ্জ মডেল থানা, দোহার উপজেলা ও নবাবগঞ্জ উপজেলাসহ সাতটি ইউনিটের নেতাকর্মীরা কাজ করে যাচ্ছেন।
এদিকে সম্মেলন ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে রয়েছে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা। ইতোমধ্যে ডজনখানেক নেতা গুরুত্বপূর্ণ পদে শীর্ষ পদে প্রার্থী হিসেবে প্রচার চালাচ্ছেন। পাশাপাশি ফেসবুকে পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে প্রচার চালাচ্ছেন নেতাকর্মীরা।