ঢাকা, ২২ পৌষ (৬ জানুয়ারি)

কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন,
বর্তমান সরকার কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ত্বরান্বিত করতে কৃষকদেরকে ৫০-৭০% ভরতুকিতে কৃষি
যন্ত্রপাতি দিচ্ছে। এই ভরতুকি বা প্রণোদনা দেওয়ার ফলে দেশে দ্রুত কৃষি যান্ত্রিকীকরণ
হচ্ছে।

আজ ঢাকায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের (আইইবি) সেমিনার হলে ‘কৃষিজের
টেকসই উন্নয়নে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ী প্রযুক্তির ব‌্যবহার’ শীর্ষক ৩দিনব্যাপী
কনফারেন্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা
বলেন। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে আইইবি ও
এক্সপোনেট এক্সিবিশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

মন্ত্রী বলেন, দেশের বিজ্ঞানীরা প্রচুর আধুনিক কৃষিপ্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। আমনের
স্বল্পজীবনকালের ধান উদ্ভাবন করেছে। ফলে আমন ও বোরো মৌসুমের মাঝের সময়ে সরিষা
আবাদ সম্ভব হচ্ছে, এটি একটি অতিরিক্ত ফসল ও নতুন ক্রপিং প্যাটার্ন।  খড়া ও লবণাক্ত
সহিষ্ণু ধানের জীবনরহস্য উন্মোচন হয়েছে কয়েকদিন আগে। উপকূলে দুই মিলিয়ন হেক্টর
লবণাক্ত জমি রয়েছে। সেখানে লবণাক্তসহিষ্ণু ধানের চাষ করে বছরে ২ টা ফসল করা গেলে খাদ্য
উৎপাদন ব্যবস্থা টেকসই হবে। এছাড়া ব্রি সম্প্রতি ধান কাটার যন্ত্র কম্বাইন হারভেস্টার
তৈরি করেছে যা দামে অনেক কম ও দেশের জমিতে ব্যবহারের জন্য খুবই উপযোগী।

বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের প্রযুক্তিগুলো মাঠ পর্যায়ে
পৌঁছানো এখন বড় চ্যালেঞ্জ। এসব উদ্ভাবিত প্রযুক্তি মাঠে যাচ্ছে খুবই ধীর গতিতে। আপনাদের
উদ্ভাবিত প্রযুক্তি মাঠে না গেলে, কৃষক সুফল না পেলে, সেগুলো উদ্ভাবন করেও কোনো সুফল
পাওয়া যাবে না। তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন দেশে এখন উন্নত কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে।
সেগুলোকে কীভাবে তাড়াতাড়ি দেশে ব্যবহারোপযোগী করা যায়, উৎপাদনের কাজে লাগানো যায়, তা
দেখে ব্যবস্থা নিন। আমরা সরকার থেকে সবোর্চ্চ সহায়তা দেব। কিন্তু কাজটা আপনাদের করতে
হবে।’

আইইবির’র ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মোঃ নুরুজ্জামানের সভাপতিত্বে কৃষি সম্প্রসারণ
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেনজীর আলম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী মোঃ আবদুস সবুর, আইইবির’র ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মোঃ

হোসাইন, স্রেডার সদস্য সিদ্দিক যোবায়ের, আইইবির’র  সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী শাহাদৎ
হোসেন,এক্সপোনেট এক্সিবিশনের চেয়ারম্যান আলী রেজা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। মূল প্রবন্ধ
উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্ম পাওয়ার এন্ড মেশিনারি বিভাগের
অধ্যাপক প্রকৌশলী চয়ন কুমার সাহা।