ভারতের ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন ভবনে হামলা ও ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ ভারতীয়রা। এ ঘটনাকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ‘গভীরভাবে দুঃখজনক’ বলে জানিয়েছে। তবে হামলার ঘটনায় বিক্ষুব্ধ ঢাকাসহ সারা দেশ।গতকাল সোমবার রাত থেকেই এই বিষয়ে ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানাচ্ছেন।
এবার হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন আইন ও বিচার বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলও। তিনি এই ঘটনাকে ‘ন্যক্কারজনক’ আখ্যা দিয়েছেন। পাশাপাশি ভারতের সঙ্গে সমমর্যাদা ও সমানাধিকারভিত্তিক বন্ধুত্ব বাংলাদেশ চায় বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে আইন উপদেষ্টা লিখেছেন, ‘‘আজকে ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন তছনছ করা হয়েছে, বাংলাদেশের পাতাকায় অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি নামে একটি সংগঠনের সদস্যরা এই ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। (প্রশ্ন করি, এই ঘটনা ‘মুসলিম সংঘর্ষ সমিতি’ নামের কোনো সংগঠন বাংলাদেশে করলে কেমন আক্রমণাত্মক প্রচারণায় মেতে উঠত ভারত?)’’
পোস্টে কোনো দেশের দূতাবাসগুলোকে নিরাপত্তা দিতে আন্তর্জাতিক আইনেরও প্রসঙ্গ টানেন আসিফ নজরুল। তিনি লিখেছেন, ‘আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে ভারতের মাটিতে বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনকে পরিপূর্ণ নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব ভারতীয় সরকারের। তারা এটি করতে ব্যর্থ হয়েছে। এই ব্যর্থতার নিন্দা জানাই।’
এদিকে বাংলাদেশ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের কথাও উল্লেখ করেছেন উপদেষ্টা। এ বিষয়ে তিনি লিখেছেন, ‘নিন্দা জানাই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতার মন্তব্যের। ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে যা ঘটে, সংখ্যালঘু ও দলিত সম্প্রদায়ের ওপর, এর জন্য বরং উল্টো ভারতের (এবং মমতার) লজ্জিত হওয়া উচিত।’
এরপর আসিফ নজরুল লিখেছেন, ‘ভারতকে বলি, আমরা সমমর্যাদা আর সমানাধিকার ভিত্তিক বন্ধুত্বে বিশ্বাসী। শেখ হাসিনার সরকার বিনাভোটে ক্ষমতায় থাকার লোভে ভারত-তোষণ নীতিতে বিশ্বাসী ছিল। তবে ভারতকে বুঝতে হবে, এটা শেখ হাসিনার বাংলাদেশ নয়। এই বাংলাদেশ স্বাধীন, সার্বভৌম ও আত্নমর্যাদাশীল। এই বাংলাদেশ নির্ভীক একটি তরুণ সম্প্রদায়ের।’