গত শতাব্দীর আশি বা নব্বইয়ের দশকে যখন পাকিস্তান ক্রিকেট দল ভারতে নিয়মিত সিরিজ বা কোনও টুর্নামেন্ট খেলতে আসত, এই ধরনের দৃশ্য তখন হামেশাই চোখে পড়ত।
স্টেডিয়ামের বাইরে ও ভেতরে তখন গিজগিজ করত পুলিশ, মাঠে ঢোকার ক্ষেত্রে থাকত হাজারো কড়াকড়ি। বিভিন্ন উগ্র হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠী মাঠে হাঙ্গামা বাঁধানোর চেষ্টা করতে পারে, এই আশঙ্কায় তটস্থ থাকতে হত ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তা ও নিরাপত্তাকর্মীদের।
’৯১ সালে মহারাষ্ট্রের শিবসেনা দলের কর্মীরা তো একবার মুম্বাইয়ের বিখ্যাত ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের পিচ খুঁড়ে দিয়ে ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচই ভন্ডুল করে দিয়েছিলেন। ‘সন্ত্রাসবাদে মদতদাতা’ পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও খেলা নয় – এটাই ছিল তখন শিবসেনার ঘোষিত নীতি।
সেই ঘটনার তেত্রিশ বছর বাদে আজও ভারতের কোনও মাঠে আন্তর্জাতিক ম্যাচের আগে ম্যাচ ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টা আটকাতে প্রশাসনকে বিরাট কড়াকড়ি আরোপ করতে হবে, হাজারে হাজারে পুলিশ মোতায়েন হবে বা কালো পতাকা নিয়ে মাঠে ঢুকতে বাধা দিতে হবে – এ জিনিস কিন্তু প্রায় অকল্পনীয় ছিল।
অথচ গত রবিবার (৬ অক্টোবর) গোয়ালিয়রে ভারত বনাম বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচটির আগে অবিকল সেই দৃশ্যই দেখা গেছে।