ঢাকা, ২৬ ভাদ্র (১০ সেপ্টেম্বর) :
নয়াদিল্লিতে প্রেসক্লাব অভ ইন্ডিয়ায় বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন, ভারতের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী, তথ্যমন্ত্রী, পররাষ্ট্র সচিব, সাংবাদিক, গবেষকবৃন্দ সকলের সাথে
বৈঠকসহ গত ৬-৭ সেপ্টেম্বরের ভারত সফর অত্যন্ত ফলপ্রসূ বলেছেন তথ্যমন্ত্রী ও
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ।
আজ রাজধানীর মিন্টো রোডে মন্ত্রীর বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে
তিনি জানান, প্রেসক্লাব অভ্ ইন্ডিয়াতে বঙ্গবন্ধু মিডিয়া কর্নার উদ্বোধন দু'দেশের
সম্পর্কে একটি মাইলফলক। বঙ্গবন্ধুর একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিকৃতিও সেখানে স্থাপিত
হয়েছে।
এস জয়শংকরের সাথে করোনা পরিস্থিতি ও টিকা ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনার বিষয়ে
মন্ত্রী বলেন, 'ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিদেশি কাঁচামালের অপ্রতুলতার কারণে টিকা
উৎপাদন ব্যাহত হবার কথা জানান, যা বছরের শেষচতুর্ভাগ অর্থাৎ অক্টোবর-ডিসেম্বরে
তারা কাটিয়ে উঠবে। আশা করি, ভারতে টিকা উৎপাদন জোরদার হলে তারা বাংলাদেশে
চুক্তির টিকা সরবরাহে সক্ষম হবে।' এছাড়া বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ
নিয়েও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সচিবের সঙ্গে আলোচনার কথা জানান মন্ত্রী।
অনুরাগ সিং ঠাকুরের সঙ্গে সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে ড. হাছান
বলেন, 'বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকের অগ্রগতি, আমাদের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র নির্মাণ
চুক্তি অনুযায়ী কাজ শুরু এবং ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রীর ৫০ বছর ২০২১ সাল যৌথ
উদ্‌যাপনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সেইসাথে পয়লা অক্টোবর থেকে বিদেশি টিভির ক্লিন
ফিড নিয়ে আইন কড়াকড়িভাবে প্রয়োগের বিষয়টিও ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীকে
অবহিত করেছি।'
মন্ত্রী হাছান মাহ্‌মুদ এ সময় দিল্লির প্রখ্যাত সাংবাদিকদের সাথে মধ্যাহ্নভোজ,
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অভ্ ওয়ার্ল্ড অ্যাফেয়ার্স আয়োজিত অল ইন্ডিয়া রেডিও'র প্রয়াত
পরিচালক ইউ এল বড়ুয়া গ্রন্থিত ‘বাংলাদেশ ওয়ার কমেন্ট্রি’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন এবং
‘দূরদর্শনে’ দেয়া তার সাক্ষাৎকারের কথা জানান এবং বলেন, এই সফরের মধ্যে দিয়ে দুই
দেশ ও মানুষের  সম্পর্ক আরো জোরদার হবে।
এ সময় বিএনপিনেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্য 'আওয়ামী লীগ
নির্যাতনকারী দল' এবিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'বিএনপির
রাজনীতিই রক্ত, লাশ ও মানুষকে নির্যাতনের ওপর দাঁড়িয়ে। ফখরুল সাহেব এমন দল করেন

যেই দলের নেতা মানুষের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে ক্ষমতা দখল করেছিলেন, বঙ্গবন্ধু
হত্যকাণ্ডের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন, সেনাবাহিনীর হাজার হাজার জওয়ানদের
হত্যা করে তাদের লাশের ওপর দাঁড়িয়ে দেশ পরিচালনা করেছেন। আওয়ামী লীগের হাজার
হাজার নেতাকর্মীকেও সে সময় হত্যা করা হয়েছে। এরপর খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ফখরুল
সাহেবরা যেভাব মানুষের ওপর পেট্রোল বোমা মেরে নিরপরাধ মানুষকে মেরেছে, দিনের পর
দিন অবরোধের নামে মানুষকে নির্যাতন করেছে, তাতে তার ওই মন্তব্য তাদের ক্ষেত্রেই
প্রযোজ্য।’