প্রথমবারের মতো ভূগর্ভস্থ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার টানেল উন্মোচন করেছে ইরান।
গতকাল মঙ্গলবার চলমান বিশাল সামরিক মহড়ায় ভূগর্ভস্থ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার টানেল উন্মোচন করে ইরান। খবর-পার্সটুডের।
দেশটির বার্তা সংস্থা তাসনিম জানিয়ে, গার্ডিয়ান্স অব বেলায়েত স্কাই-১৪০১ নামক সামরিক মহড়ায় একটি ভুগর্ভস্থ টানেল থেকে খোরদাদ-৩ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বের করে আনার ভিডিও প্রকাশ করা হয়।
এর আগে ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র অ্যারোস্পেস বিভাগের তৈরি এই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়েছে। এই প্রথম ইরান নিজের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ভূগর্ভস্থ টানেল জনসমক্ষে প্রকাশ করলো।
আইআরজিসি’র খতামুল আম্বিয়া ঘাঁটির কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির রাহিমজাদে বলেছেন, এসব আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যাতে শত্রুরা শনাক্ত করতে না পারে সেজন্য ভূগর্ভে মোতায়েন করা হয়েছে। প্রয়োজনের সময় এসব প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভূগর্ভ থেকে বের হয়ে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে আবার ভূগর্ভে ঢুকে যাবে।
তিনি আরো বলেন, যতটুকু জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়েছে তা আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মূল ভাণ্ডারের ক্ষুদ্র একটি অংশ মাত্র।
বার্তা সংস্থা তাসনিম আরো জানিয়েছে, ইরানে ভূগর্ভে ঘাঁটি নির্মাণের ইতিহাস কয়েক দশকের। আইআরজিসি সর্বপ্রথম ভূগর্ভে নিজের ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণ করার জন্য এরকম ঘাঁটি বা ভূগর্ভস্থ শহর নির্মাণ করেছিল। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর অন্যান্য শাখাও ভূগর্ভে ঘাঁটি নির্মাণ শুরু করে এবং এটি এখন একটি স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে।
বর্তমানে আইআরজিসির ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণের জন্য বেশ কয়েকটি ভূগর্ভস্থ শহর রয়েছে। এছাড়া ইরানের সেনাবাহিনী ও আইআরজিসির ড্রোন সংরক্ষণের জন্যও রয়েছে বহু ভূগর্ভস্থ শহর।