টিপু সুলতান, ভোলা,
বাংলাদেশ পুলিশ ট্রেইনি রিক্রুট কনেস্টেবল নিয়োগ পরিক্ষায় ভোলায় প্রথম হয়েছেন দিন মুজুর কৃষকের মেয়ে ফাতেমা আক্তার।
১৪৪৫ পরিক্ষার্থীর মধ্যে ফাতেমা শারিরিক, লিখিত ও মৌখিক সর্বমোট ৬০ নাম্বারের পরিক্ষায় ৫১.৩৩ নাম্বার পেয়ে ভোলা জেলায় নিয়োগ প্রাপ্ত ৩৭ জনের মধ্যে প্রথম হয়েছেন। ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রামে ফাতেমার জন্ম। ৮ নভেম্বর রাত ১২ টায় ভোলা পুলিশ লাইন্স এ ভোলার বহুল আলোচিত এই ফলাফলের ঘোষনা করেন পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, বিপিএম পিপিএম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ভোলার এডিশনার পুলিশ সুপার মোঃ আবুল কালাম আজাদ, আর আই সামছুল আরিফিন, ভোলা মডেল থানার ওসি মোঃ এনায়েত হোসেন।
ফলাফল ঘোষনার পর তাৎক্ষনিক এক প্রতিক্রিয়ায় সবুজ বাংলাদেশকে ভোলার পুলিশ সুপার বলেন, এই নিয়োগ পরিক্ষায় কোন গরিব ধনী বিবেচনা করা হয়নি, প্রকৃত মেধাবীদের মুল্যয়ন করা হয়েছে। তবে চাকুরিটি যেসব অসহায় পরিবারের খুব প্রয়োজন তাদের হওয়াতে আমি বেশি খুশি হয়েছি। এবারের নিয়োগ প্রক্রিয়া আমাদের আইজিপি মহোদয় এমন পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন যে সেখানে কোন প্রকার অনিয়মের সুযোগই ছিলো না। আমি এই নিয়োগের সাথে জড়িত সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
ফাতেমা আক্তারের প্রতিক্রিয়া জানতেই কেঁদে ফেলেছেন ফাতেমা, তার পর চোখের পানি মুছতে মুছতে সবুজ বাংলাদেশকে বলেন, আমার বাবা একজন কৃষক ;তাও অন্যের জমিতে কাজ করেন। ১০০ টাকার ব্যংক ড্রাফট করতেই কস্ট হয়েছে। তার উপর ৫০ কিলোমিটার দুর থেকে ভাড়া দিয়ে এখানে এসে পরিক্ষা দিতেই আমার ও আমার পরিবারের অনেক কষ্ট হয়েছে, তারপরেও ভালো লাগছে এই চাকুরীটি পেয়ে, পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম স্যার, এডিশনাল পুলিশ সুপার আজাদ স্যারসহ এই দুর্নীতি মুক্ত ও স্বচ্ছ এই নিয়োগ পরিক্ষার সাথে জড়িত সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি এ কারনে যে বিনা পয়সায় নিয়োগ পেয়ে আজ থেকে আমার জীবনটি দেশের জন্য দান করলাম।
এ নিয়োগ পরিক্ষায় সবচেয়ে বেশি শ্রমদেয়া এডিশনাল পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ বলেন অবাধ, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ এ নিয়োগ পরিক্ষায় সম্প্রিক্ত থাকতে পারায় পুলিশ সুপার ও আইজিপি স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। প্রান্তদে, বিল্লাল হোসেন, অন্তর চন্দ্রদে, আহসান হাবিবসহ বেশির ভাগ কৃষক ও দিন মুজুরের সন্তানরা এই নিয়োগ পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া খুশি স্বচ্ছ এই নিয়োগ পরিক্ষায় অংশ নেয়া নিয়োগ না পাওয়দের অভিবাবকরাও।
নিয়োগ না পাওয়াদের অভিবাবকরা জানান, এভাবে বাংলাদেশের প্রতিটি নিয়োগ পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হলে আগামী যে কোন নিয়গে আমাদের সন্তানরাও সুযোগ পাবে