টিপু সুলতান, ভোলা,
রাজধানীর গ্রীন রোডের কমফোর্ট হাসপাতালে লাইভ সাপোর্টে থাকা ভোলা জেলা ছাত্রদল সভাপতির মৃত্যু। এ নিয়ে পুলিশ বিএনপি সংঘর্ষের ঘটনায় ২ জন নিহত হলো।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে, গ্যাস, বিদ্যুতসহ নিত্যপন্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং বিদ্যুতের লোডশেডিং এর প্রতিবাদে ৩১ জুলাই বেলা ১১ টায় ভোলা জেলা বিএনপি প্রতিবাদ সমাবেশ এবং বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে। শহরের কালীনাথ রায়ের বাজার এলাকায় জেলা বিএনপি কার্যালয়ে সমাবেশ শেষে মিছিল করতে রাস্তায় নামে দলীয় নেতাকর্মীরা। এসময় পুলিশের সাথে সংঘর্ষ বাধে তাদের। সংঘর্ষে পুলিশকে লক্ষ করে ব্যপক ইট পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ৩০ রাউন্ড টিআরসেল ও ১৬৫ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছোড়ে এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নেতাকর্মীরা আহত হলে তাদের ভোলা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়।
সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় দক্ষিন দিঘলদী ইউনিয়নের কোড়ালিয়া গ্রামের হারেছ মাতব্বরের ছেলে স্বচ্ছাসেবকদল নেতা আব্দুর রহিম মারা যান। মাথায় গুলিবিদ্ধ গুরুত্বর আহত ভোলা জেলা ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলমকে ভোলা হাসপাতাল থেকে প্রথমে বরিশাল সেবাচিমে পাঠানো হয়। সেখানকার ডাক্তাররা ব্যার্থ হয়ে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাৎক্ষনিক ঢাকায় কমফোর্ট হাসপাতালে পাঠান। ৩দিন হাসপাতালের লাইভসাপর্টে থাকার পর আজ ৩ আগস্ট বুধবার বেলা ৩ টার পর ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
পরে ভোলা সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আসিফ আলতাফ তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন।