অলংকার বিক্রির ভ্যাট ৫ থেকে ৩ শতাংশ করলে সরকারের আয় বাড়বে ১ হাজার কোটি টাকা। ভ্যাট আদায়ের আড়ালে ঘুষ নেওয়ার সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসতে। ভ্যাট আদায়ে হয়রানি, অনিয়ম বন্ধে বাজুস সারাদেশে সোচ্চার হবে এবং জুয়েলারী ব্যবসায়ীদের যেন কোন ধরণের হয়রানি করা না হয় সে বিষয়ে বাজুস সজাগ থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন (বাজুস) চট্টগ্রাম জেলার নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক, শপথ ও মতবিনিময় সভার বক্তারা।
আজ সোমবার নগরীর স্মরণিকা কমিউনিটি সেন্টারে এ সভার আয়োজন করা হয়।
বাজুস চট্টগ্রাম জেলার নবনির্বাচিত সভাপতি যীশু বণিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাজুস কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বাদল চন্দ্র রায় বলেছেন, বড় এবং ছোট সব ব্যবসায়ীরাই যাতে সৎভাবে ব্যবসা করতে পারে সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে বাজুস। যারা স্বর্ণের ব্যবসা করবেন তাদের অবশ্যই বাজুসের সদস্য হতে হবে। আমরা যদি সরকারকে সহায়তা করি, সরকারও আমাদের সহায়তা করবেন। আমরা সবাই একসঙ্গে থাকলে আশা করছি একদিন আমাদের সুদিন ফিরবে।
বিশেষ অতিথির বক্তারা বাজুসের সাবেক সভাপতি ও বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ডিস্ট্রিক মনিটরিংয়ের চেয়ারম্যান ডা. দিলীপ কুমার রায় বলেন, দেশের স্বনামধন্য শিল্প উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীক সমাজের আইডল সায়েম সোবহান আনভীর বাজুসের নেতৃত্বে আসার পর থেকে বাজুস একটি ঐক্যবদ্ধ সংগঠনে রূপান্তর হয়েছে। আজকের এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে বাজুস সারাদেশে একটি শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত হয়েছে। আর বাজুসের অন্যতম দূর্গ হচ্ছে এই চট্টগ্রাম। জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার স্বর্ণ শিল্প উন্নয়নে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করছেন। সরকারের পাশাপাশি স্বর্ণ শিল্পের উন্নয়নে আমাদের নেতা সায়েম সোবহান আনভীরের নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে যাব। আগামীতে সারাদেশে যত ব্যবসায়ী সংগঠন আছে তারমধ্যে সেরা সংগঠন হবে বাজুস।
বাজুস চট্টগ্রাম জেলার নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক প্রণব সাহা পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাজুস কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি গুলজার আহমেদ, সাবেক সভাপতি রিপনুল হাসান, বাজুসের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা রুহুল আমিন রাসেল, বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ডিস্ট্রিক মনিটরিংয়ের সদস্য সচিব পবিত্র চন্দ্র ঘোষ, বাজুস চট্টগ্রাম জেলার নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড-১৪ এর সদস্য অমল কান্তি ধর, প্রদীপ ধর, গৌতম চন্দ্র বিশ্বাস, আপিল বোর্ডের সদস্য নুরুল আনোয়ার।
সভায় বক্তারা আরও বলেন, একটা সময় জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা ছন্নছাড়া ও ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন ছিলো। সায়েম সোবহান আনভীরের নেতৃত্বে সব স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা এখন এক ছাতার নিচে আসতে পেরেছে। তিনি যখন থেকে প্রেসিডেন্ট হয়ে বাজুসের হাত ধরেছেন তারপর থেকে সকল স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা অনেক ভালো আছেন। বর্তমানে বাজুস দেশের একটি শক্তিশালী সংগঠন।