ঢাকা, ২৪ অগ্রহায়ণ (৯ ডিসেম্বর):

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আগামীকাল ১০ ডিসেম্বর ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ-
২০২১ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :

“জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উদ্যোগে ১০ ডিসেম্বর ‘ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ ২০২১’
পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। জাতীয় ভ্যাট দিবস উপলক্ষ্যে আমি ব্যবসায়ী,
ভোক্তাসাধারণ ও ভ্যাট আহরণ কাজেনিয়োজিত সকল পর্যায়ের রাজস্ব কর্মীদেরকে
আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।

রাষ্ট্রপরিচালনাসহ রাষ্ট্রের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখতে রাজস্ব একটি
অপরিহার্য উপাদান। রাষ্ট্রের নানাবিধ ব্যয়নির্বাহ এবং উন্নয়ন প্রকল্পসমূহ
বাস্তবায়নের জন্য যে অর্থের প্রয়োজন তার সিংহভাগই আসে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব হতে।
আর এই রাজস্বের অন্যতম উৎস হচ্ছে ভ্যাট। যথাসময়ে সঠিক পরিমাণ ভ্যাট আহরণ
নিশ্চিত করতে ভ্যাট আহরণকারী সকল স্তরের রাজস্ব কর্মী ও ব্যাবসায়ীদের মধ্যে
পারস্পরিক আস্থা, বিশ্বাস ও সহযোগিতার অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি বলে
আমি মনে করি। ভ্যাট প্রদানে জনগণকে উৎসাহিত করার পাশাপাশি ভ্যাট প্রদান পদ্ধতি
সরলীকরণের জন্য সরকার রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনাকে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির
আওতায় এনেছে। সময় ও অর্থের সাশ্রয় করে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর মূল্য সংযোজন
কর (ভ্যাট) ব্যবস্থা প্রবর্তনের লক্ষ্যে ‘মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন
২০১২’ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ভ্যাট সিস্টেমকে আধুনিকায়ন ও যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে
একে অনলাইন নির্ভর করে তোলা হয়েছে।

আত্মমর্যাদায় বলীয়ান স্বনির্ভর জাতি গঠনের চাবিকাঠি হচ্ছে সমৃদ্ধ রাজস্ব
ভাণ্ডার। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রাজস্ব আহরণে আরো
গতিশীলতা আনা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে ভোক্তাসাধারণ ও ব্যবসায়ীবৃন্দকেও সহযোগিতার হাত
বাড়াতে হবে। আমি রাজস্ব আহরণের গতিধারাকে আরো বেগবান করতে ব্যবসায়ী, করদাতা,
ভোক্তাসাধারণ ও রাজস্ব কর্মীসহ সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।
‘ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ ২০২১’ উদযাপন সফল ও সার্থক হোক- এ কামনা করছি।
জয় বাংলা।

খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”