ঢাকা, ২৩ পৌষ (৭ জানুয়ারি)

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেছেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আমাদের
মিশনগুলোর দায়িত্ব হবে নতুন শ্রমবাজার খুঁজে শ্রমশক্তি নিয়োগের ব্যবস্থা করা। ফলে একদিকে
সে দেশের উন্নয়নে বাংলাদেশ সরাসরি ভূমিকা রাখবে অন্যদিকে শ্রমিকরা রেমিট্যান্স পাঠিয়ে
বাংলাদেশের উন্নয়নে অবদান রাখবে।।

ড. মোমেন বলেন, আমাদের প্রবাসী শ্রমিকদের প্রায় ৮০ শতাংশই মধ্যপ্রাচ্যে। আমরা
অন্যান্য অঞ্চলেও শ্রমশক্তি প্রেরণ করতে চাই। সেক্ষেত্রে তাদেরকে আরো দক্ষ করে পাঠাতে
পারলে সুফল পাওয়া যাবে।

গতকাল সন্ধ্যায় বিদেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারগণের সাথে
অনুষ্ঠিত ভার্চ্যুয়াল সভায় ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উচ্চ মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের
মধ্যে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কৌশলগত কূটনৈতিক পদক্ষেপ
হিসেবে ইকনমিক ডিপ্লোম্যাসি ও পাবলিক ডিপ্লোম্যাসি বাস্তবায়নে বিভিন্ন নির্দেশনা দেন।
সম্প্রতি রোমানিয়ায় লোক প্রেরণের বিষয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, অন্যান্য দেশেও
আমাদের শ্রমশক্তি প্রেরণের লক্ষ্যে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা বাড়াতে হবে। তিনি আফ্রিকা অঞ্চলে
কনট্রাক্ট ফার্মিং-এর মাধ্যমে বাংলাদেশের শ্রমিকদের সেখানে প্রেরণের সুযোগ সৃষ্টির জন্য
সেসব দেশের সরকারের সাথেও যোগাযোগ বৃদ্ধির তাগিদ দেন।

ড. মোমেন বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার মাধ্যমে দেশের জনশক্তিকে কাজে
লাগানোর সুযোগ সৃষ্টির প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। একইসাথে বিদেশে বাংলাদেশের বাণিজ্য বৃদ্ধির
লক্ষ্যেও কূটনৈতিক তৎপরতা চালাতে বাংলাদেশ মিশনসমূহের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে প্রযুক্তি স্থানান্তরেও ভূমিকা
রাখতে হবে। মন্ত্রী বিদেশে বাংলাদেশের মর্যাদা বৃদ্ধির লক্ষ্যে, বিশেষকরে প্রবাসী
বাংলাদেশিদের পাশে থাকতে এবং মিশনগুলোতে সেবার মান বাড়াতে সেখানে নিয়োজিত কর্মকর্তা-
কর্মচারীদের সমন্বিতভাবে কাজ করার আহবান জানান।

সভায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম, মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ
বিন মোমেন, সচিব (মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট) রিয়ার এডমিরাল (অব:) খুরশেদ আলম, সচিব

(পশ্চিম) শাব্বির আহমেদ চৌধুরী, সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামস, বিদেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের
রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারগণ, মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালকবৃন্দ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ
সংযুক্ত ছিলেন।