গাজীপুর, প্রতিনিধি :

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বোয়ালী ইউনিয়নে প্রবাসী বাংলা এগ্রো ফিশারিজ প্রাকৃতিক উপায়ে মডার্ন পদ্ধতিতে উজান বিলে মাছ চাষ করে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছেন। প্রবাসী বাংলা এগ্রো ফিশারিজের সফলতা দেখে স্থানীয় বহু বেকার যুবক অনুপ্রাণিত হয়ে নিজেদেরকে মাছ চাষের সাথে সম্পৃক্ত করছে। প্রাকৃতিক উপায়ে মডার্ন পদ্ধতিতে সর্বাধুনিক দেশীয় প্রযুক্তিতে মাছ চাষ করে বেকার যুবক ঝুকেছেন এবং বেকারত্ব হতে সফলতা অর্জন করেছেন।
বর্তমানে উজান বিল স্থানীয়দের কাছে একটি আদর্শ হিসেবে এবং লাভজনক ব্যবসা হিসেবে মাছ চাষ পরিচিতি পেয়েছে। উজান বিলে প্রবাসী বাংলা এগ্রো ফিশারিজ এর চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার ইদ্রিস একান্ত সাক্ষাৎকারে মৎস্য চাষ সম্পর্কে জানায় তাদের প্রজেক্টে ৭৬ একর সম্পত্তি রয়েছে। তাদের চাষের মধ্যে রয়েছে দেশীয় কাপ জাতীয় মাছ রুই, কাতল, মৃগেল, কালিবাউশ এবং তেলাপিয়া মাছ ধরার । তার প্রথম চাষ চট্টগ্রামের মিরসরাই মুহুরী প্রজেক্ট নামে যা বঙ্গবন্ধু শিল্প এলাকায় করেছে এবং কুমিল্লার লালমাই তে অপর ১৬একর একটি প্রজেক্ট রয়েছে। সেখানে সফলতার সাথে মাছ চাষ করার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে উজান বিলে মডার্ন পদ্ধতিতে মাছ চাষ শুরু করেন। তিনি আরো বলেন আমি সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড এবং ইন্দোনেশিয়া প্রায় ২৫ বছর প্রবাসে থাকা অবস্থায় মাছ চাষ সম্পর্কে ব্যাপক জ্ঞান অর্জন করে শতভাগ যেন মাছে আমিষ থাকে তার দিকে লক্ষ্য রেখে মডার্ন পদ্ধতিতে মাছ চাষ শুরু করি। তিনি আরো জানায় মাছ চাষের উপযোগী স্থান হল নিরক্ষরেখার পাঁচ ডিগ্রি উত্তরে বা দক্ষিনে উক্ত স্থান এ বছরে প্রায় সময় সূর্য মাথার উপরে থাকে মাছ চাষে যে আদর্শ তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা তা ইন্দোনেশিয়া সিঙ্গাপুর মালয়েশিয়া এবং বাংলাদেশে রয়েছে। সেই অনুপাতে বাংলাদেশ মাছ চাষের জন্য উপযোগী স্থান।এখানে প্রবাসী বাংলা এগ্রো ফিসারিজ প্রথম অত্র এলাকায় মাছ চাষ করে এবং ব্যাপক সাড়া জাগায় অত্রস্থানে। যে মাস্কের নাইলোটিকে বলি তার মিশরে নীলনদে চাষ হলে তার সর্বশেষ বাংলাদেশ ফিসারিস রিচার্জ ইনস্টিটিউট ঠিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে উদ্ভাবন করেন যার মধ্যে পুরুষ তেলাপিয়া বেশি লাভজনক।
প্রবাসী বাংলা এগ্রো ফিসারিজ পোনা উৎপাদনের হ্যাচারি তৈরি করে পোনা বাজারজাত করবেন। তাহলে অত্র এলাকায় মাছ চাষে ব্যাপক বিপ্লব ঘটবে। প্রবাসী বাংলা উজান বিলে মাছ চাষ করে লাভবান হন অতিদ্রুত। অত্র এলাকার মানুষ শান্তি প্রিয় হলেও দুই একজন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এখানে মৎস্য চাষের প্রতিবন্ধকতায় স্থানীয় একজন প্রবশালী ব্যক্তি মোঃ রমজান আলী বিভিন্ন সময়ে খামারে বাদ কেটে এবং তার লোকজন দিয়ে নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে প্রবাসী বাংলা এগ্রো ফিশারিজের ব্যাপক ক্ষতি করে আসছে।এ বিষয় নিয়ে একাধিক মামলা রয়েছে এবং কালিয়াকৈর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি, এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে মাছ চাষে নানা প্রকার বাধা দিয়ে আসছে। প্রবাসী বাংলা এগ্রো ফিশারিজে প্রতিবন্ধকতা, বাঁধা না আসলে মৎস্য চাষে শতভাগ সফলতা অর্জন করবে বলে আশা করছে স্থানীয় মৎস্য চাষীরা।