ঢাকা, ১৮ পৌষ (২ জানুয়ারি):

সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, সামাজিক নিরাপত্তা খাতে গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণে সরকার কাজ করছে। এসব কর্মসূচি বাস্তবায়িত হলে দারিদ্র্যসীমা থেকে বেরিয়ে আসবে কয়েক কোটি লোক।মন্ত্রী আজ রাজধানীর আগারগাঁওস্থ সমাজসেবা অধিদপ্তর মিলনায়তনে জাতীয় সমাজসেবা দিবস ২০২৩ ও মানবকল্যাণ পদক বিতরণ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মোঃ আশরাফ আলী খান খসরু ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবু সালেহ্ মোস্তফা কামাল।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে ‘মাদার অভ্ হিউম্যানিটি’ হিসেবে খ্যাতি পেয়েছেন। মানবতার কল্যাণে তাঁর এ পদক্ষেপ বিশ্বে বিরল। সে ঘটনার প্রেক্ষাপটে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় মানবকল্যাণ পদক প্রদানের কাজ শুরু করে। জনকল্যাণে উদ্বুদ্ধ হয়ে মানবতার সেবায় কাজ করা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ ক্যাটেগরিতে প্রতিবছর মানবকল্যাণ পদক প্রদান করা হবে।

মন্ত্রী আরো বলেন, ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ হবে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় পরিচালিত কর্মসূচিসমূহ বাস্তবায়নে স্মার্ট প্রযুক্তির সূচনা হয়েছে। এক কোটিরও অধিক ভাতাভোগী এবং পাঁচ কোটিরও অধিক উপকারভোগী সরাসরি এ মন্ত্রণালয়ের সেবার আওতাভুক্ত। অদূর ভবিষ্যতে এ বিশাল সংখ্যক মানুষ দারিদ্যসীমা থেকে বেরিয়ে আসবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, সকল মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় কাজ করছে । সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আইন ও বিধিমালা প্রণয়ন করে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাশেদ খান মেনন বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশে সর্বপ্রথম সুদমুক্ত ক্ষুদ্র ঋণ চালু করেছিলেন। করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতি টালমাটাল। এমন অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে দেশের মানুষের জন্য সুদমুক্ত ক্ষুদ্র ঋণ সহায়ক হবে।

পরে মন্ত্রী মানবকল্যাণ পদক ২০২০ ও ২০২১ প্রাপ্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের হাতে পদক, স্মারক, সনদপত্র ও অর্থ তুলে দেন।