ঢাকা, ১১ আষাঢ় (২৫ জুন) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ২৬ জুন মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও
পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস ২৬ জুন ২০২১
উদযাপন উপলক্ষ্যে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ক্রোড়পত্র ও
স্যুভেনির প্রকাশের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাচ্ছি।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন
বাংলাদেশের সংবিধানে মাদকদ্রব্য-নিয়ন্ত্রণে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেন। আমাদের
সংবিধানের ১৮ (১) নম্বর অনুচ্ছেদে মদ্য ও অন্যান্য মাদক পানীয় এবং স্বাস্থ্যহানিকর
ভেষজের ব্যবহার নিষিদ্ধ করার জন্য রাষ্ট্রকে কার্যকর ব্যবস্থাগ্রহণ করতে বলা
হয়েছে।
বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের ২০১৮ সালের নির্বাচনি ইশতেহারে মাদকদ্রব্য-
নিয়ন্ত্রণের সুস্পষ্ট লক্ষ্য ও পরিকল্পনা রয়েছে। মাদকের ছোবল থেকে তরুণ ও
যুবসমাজকে রক্ষা করতে আমরা নানামুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছি। আমাদের সরকার
গত অর্থবছরে ৯১টি বেসরকারি মাদকাসক্তি নিরাময়কেন্দ্রকে অনুদান প্রদানের পাশাপাশি
চলতি অর্থবছরে অনুদানের পরিমাণ বৃদ্ধি করেছে। ইতোমধ্যে সরকারি অর্থায়নে ৭টি
বিভাগীয় শহরে ২০০ শয্যার মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রস্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা
হয়েছে। এসডিজির লক্ষ্য-বাস্তবায়ন এবং দেশে মাদকাসক্তি পর্যায়ক্রমে শূন্যের কোঠায়
নামিয়ে আনার জন্য বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। যুবকদের
আত্মকর্মসংস্থানের জন্য ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। যুবঋণ দিয়ে
তাদের আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দেশের আইটিখাতে বিনিয়োগ বাড়ানো
হয়েছে, ফলে কর্মসংস্থান বাড়ছে। ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে,
এতে ১ কোটির বেশি লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। আমাদের সরকারের সময়োপযোগী
পদক্ষেপের ফলে সীমান্ত-এলাকায় অবৈধ -পাচার অনেক কমে এসেছে এবং আরও কমিয়ে
আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
মাদকের চাহিদাহ্রাসের লক্ষ্যে মাদকনিরোধ-শিক্ষা, মাদকবিরোধী জনসচেতনতার
বিকাশ, সামাজিক উদ্বুদ্ধকরণ, সামাজিক-আন্দোলন এবং মাদকবিরোধী বিভিন্ন প্রকার
প্রচারকার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। আমি মাদকসমস্যার সমাধানে সরকারের পাশাপাশি
বেসরকারি সংগঠন, শিক্ষক, সকল ধর্মের নেতৃবৃন্দ, পিতা-মাতা, সুশীল সমাজ, অভিভাবকসহ
সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।
আমি এ দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করছি।
“জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”