কামরুল আলম, মাদারীপুর, ১৩ জ্যৈষ্ঠ (২৭ মে) :

এলিট ফোর্স (র‌্যাব) তার সৃষ্টির সূচনালগ্ন থেকেই সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, চোরাচালান ও মাদক এর বিরুদ্ধে আপোষহীন অবস্থানে থেকে নিরলস ভাবে কাজ করে আসছে। র‌্যাবের তথা আইন-শৃংখলা বাহিনীর নিয়মিত মাদক বিরোধী অভিযান দেশব্যাপী সমাদৃত। র‌্যাব-৮, মাদারীপুর গোয়েন্দা নজরদারীর মাধ্যমে কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী সম্পর্কে তথ্য পায় এবং তাদেরকে গ্রেফতারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করতে তৎপরতা শুরু করে।

র‌্যাব-৮, সিপিসি-৩, মাদারীপুর ক্যাম্পের একটি বিশেষ অভিযানিক দল কোম্পানী কমান্ডার, স্কোয়াড্রন লীডার মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম এর নেতৃত্বে অদ্য ২৬ মে ২০২২ইং তারিখ ১৭.৫০  ঘটিকার সময় মাদারীপুর থানাধীন মস্তফাপুর বাস স্ট্যান্ডস্থ সার্বিক পরিবহন বাস কাউন্টারের সামনে থেকে কাঁঠালবাড়ী ঘাট হইতে বরিশাল গামী মহাসড়কের চেক পোস্টের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। কালাম (৩৪), পিতাঃ মৃত সুলতান হাওলাদার, মাতাঃ খাদিজা বেগম,  ২। মোঃ জসিম উদ্দিন(২৬), পিতাঃ আবু ইউসুফ হাওলাদার, মাতাঃ মৃত সেতারা বেগম, উভয় সাং-শ্রীরামপুর (ওয়ার্ড নং-০৭), থানা ও জেলাঃ পটুয়াখালীদ্বয়‘কে বিপুল পরিমান গাঁজাসহ হাতেনাতে আটক করে।

এসময় আটককৃত আসামীদের নিকট হতে ২০ (বিশ) কেজি গাঁজা, মাদক ক্রয়-বিক্রয় কাজে ব্যবহৃত ০২টি মোবাইল, ০৩টি সীমকার্ড এবং মাদক বিক্রয়লব্ধ নগদ ১৭,২০০/- টাকা উদ্ধার করা হয়।

আটককৃত আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, ধৃত আসামীদ্বয় পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী এবং তারা দীর্ঘ দিন যাবৎ কুমিল্লা হতে মাওয়া-বরিশাল-পটুয়াখালী রুট ব্যবহার করিয়া বরিশাল, পটুয়াখালী ও বরগুনার বিভিন্ন স্থানে মাদকদ্রব্য গাঁজা ক্রয়-বিক্রয় করিয়া আসছিল।  ধৃত আসামীদ্বয়কে উদ্ধারকৃত গাঁজাসহ মাদারীপুর জেলার সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়। এ সংক্রান্তে মাদারীপুর জেলার সদর মডেল থানায় একটি মাদক মামলা দায়ের করা হয়েছে।

র‌্যাব-৮ এর এধরনের কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানান।