স্টাফ রিপোর্টার, মাদারীপুর, ১১ ফাল্গুন (২৪ ফেব্রুয়ারি):
মাদারীপুরের কালকিনিতে মোঃ জহিরুল ইসলাম-(১৬) নামে এক এসএসসি পরিক্ষার্থীকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে উপজেলার পূর্ব এনায়েতনগর ইউনিয়নের মোহরদ্দিরচর গ্রামে এ হত্যা কান্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত জহিরুল ইসলাম সমিতিরহাট একে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ও চলতি বছরের এসএসসি পরিক্ষার্থী। খবর পেয়ে থানা পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করেন। এদিকে নিহতের পরিবারের দাবি জহিরুলকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ঘরে ঢুকে হত্যা করা হয়েছে। অপরদিকে এসএসসি পরিক্ষার্থী জহিরুলের হত্যাকারীদের খুজে বেড় করে তাদের ফাঁসির দাবী জানিয়েছেন সহপাঠীসহ হাজারও এলাকাবাসী।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার পূর্ব এনায়েতনগর ইউনিয়নের মোহরদ্দিরচর গ্রামের কাতার প্রবাসী বারেক সরদারের স্কুল পড়ুয়া ছেলে জহিরুল ইসলাম সরদার তাদের নিজ বসত ঘরের (বিল্ডিংয়ের) একটি রুমে থাকতেন। প্রতিদিনের মতো পরিবারের সবার সাথে বুধবার দিবাগত রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে যায়। কিন্তু সকালে তার কোন শব্দ না পেয়ে তার মা কহিনুর বেগম ডাকাডাকি করে। পরে রুমের ভিতরে প্রবেশ করে জহিরুলের কম্বল দিয়ে ঢাকা মৃতদেহ দেখতে পায়। পরে স্থানীয় লোকজন থানা পুলিশকে খবর দিলে কালকিনি থানার ওসি মোঃ ইশতিয়াক আসফাক রাসেল সঙ্গীয় ফোর্সনিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করেন।
নিহতের মা কহিনুর বেগম জানান, ‘আমার ছেলেকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমার স্বামী কাতার প্রবাসী। আমাদের তেমন কোন শত্রু নেই। আমাদের বিল্ডিংয়ের তিন রুমের মধ্যে একরুমে জহিরুল ঘুমাতো। আমরা কোন সাড়া-শব্দ পাই নাই। কেন কি কারণে হত্যা করেছে, এখনও বুঝতে পারছি না কেন আমার ছেলেকে হত্যা করবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানায়, নিহতের মা কহিনুর বেগমের সাথে কয়েকজনের ‘অনৈতিক সম্পর্ক’ রয়েছে। তাই স্থানীয়দের ধারনা এই অনৈতিক সম্পর্কের জের ধরে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটতে পারে।
জহিরুলের সহপাঠী মোঃ সুজন, কায়সার, মিতুসহ বেশ কয়েকজন সংবাদ প্রতিবেদককে বলেন, জহিরুল অনেক ভালো মনের মানুষ ছিলো। তাই হত্যাকারীদের খুজে বেড় করে তাদের ফাঁসির দাবী জানাই।
মাদারীপর জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাইলাউ মাররা বলেন, ‘হত্যা কান্ডের ঘটনা শোনার পরে আমি ও কালকিনি থানার ওসি মোঃ ইশতিয়াক আসফাক রাসেলসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এবং নিহতের মৃতদেহ উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। তবে নিহতের পরিবার মামলা দিলে আমলে নেয়া হবে। অপরাধী যেই হোক, তাদের আইনগত শাস্তি পেতে হবে।