৪ ভাদ্র (১৯ আগস্ট), মাদারীপুর:
মাদারীপুরে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, জমি দখলসহ সাত মামলার আসামি ওসমান খান(৩২) কে আটক করেছেন সদর থানা পুলিশ। গতকাল রাতে মাদারীপুর বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় ওসমান খানকে গ্রেপ্তারে জন্য
পুলিশ অভিযান চালালে বিপাকে পরেন সদর থানা পুলিশ। এসময় অভিযানের দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ ও ধস্তাধস্তি করেন আসামি ওসমান খানের সমর্থক ও পরিবার।এতে হাতে চোট পেয়ে আহত হন সদর থানার এসআই আলতাফ হোসেন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এনে আটক করেন সাত মামলার আসামি ওসমান খান ও তার ছোট ভাই তাহের খান কে। মাদারীপুর শহরের শামসুন্নাহার বালিকা বিদ্যালয় সংলগ্ন সেনেটারী মালামালের ব্যবসায়ী হাওলাদার স্যানেটারীর মালিক সজিব হাওলাদারকে(৩২) চাঁদা না দেয়ায় হামলা চালিয়ে মারাত্মক ভাবে আহত করেন ওসমান খান ও তার সঙ্গীরা। সজিব হাওলাদার(২৬) সদর উপজেলার পুর্ব রাস্তি ইউনিয়ন এর ৮ নং ওয়ার্ড এলাকার আচমত হাওলাদারের ছেলে। আহতের পরিবার জানান, মাদারীপুর পৌরসভা ২ নং ওয়ার্ডের বিসিক শিল্পনগরী এলাকার সালাম খানের ছেলে ওসমান খান (৩২) ও তাহের খান (২৬) এরা দুই ভাই সন্ত্রাসী, জমিদখল, নেশাপানসহ বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত। প্রায়ই হুমকি, ধামকি ও মারধর করে এরা স্হানীয় ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে চাঁদা আদায় করেন। কয়েক মাস আগে আহত সজিব হাওলাদার ২ নং ওয়ার্ডের শামসুন্নাহার বালিকা বিদ্যালয়ের পাশে প্রধান সড়কে একটি স্যানেটারি মালামালের দোকান শুরু করেন। ব্যবসা চালুর পর থেকেই ওসমান খান দোকানে এসে চাঁদা দাবী করে আসছিলেন। চাঁদা দিবো না এমন কথা বলায় সজিব হাওলাদার কে হত্যার হুমকি দিতেন ওসমান খান। ঘটনার দিন বুধবার বিকেলে দোকান থেকে বাসায় যাওয়ার জন্য রওনা হলে শহীদ বাচ্চু সড়কের ওয়াল্ড ভিশন স্কুলের সামনে গতি রোধ করে চাঁদার টাকা চাইলে তা দিতে না চাইলে লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে পেটাতে শুরু করেন ওসমান, তাহেরসহ আরো ৩/৪ জন।একপর্যায়ে সজিবের চিৎকারে লোকজন জড়ো হলে দৌড়ে পালিয়ে যান ওসমান খান ও তার সহোযোগিরা। পরে স্হানীয়রা আহত সজিব হাওলাদার কে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান।সজিবের অবস্থা আশংকাজনক থাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে ফরিদপুর মেডিকেল হাসপাতালে রেফার করেন। বিষয়টি নিয়ে সজিবের বড় ভাই মঙলবার রাতে মাদারীপুর সদর মডেল থানায় একটি চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করলে ওসমান খান(৩২) ও তাহের খান(২৬)কে গ্রেপ্তার করেন পুলিশ।
মামলার দায়িত্বে থাকা এসআই আলতাফ হোসেন জানান, এঘটনায় মামলার আসামীকে ধরতে গেলে ওসমান ও তার পরিবার পুলিশের উপর চড়াও হয়ে অনেক খারাপ ব্যাবহার করেন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে সকলের সহযোগিতায় ওসমান খান ও তাহের খান কে গ্রেপ্তার করা হয়। ওসমান খানের নামে চাঁদাবাজি, জমি দখল ও মারামারিসহ বিভিন্ন অপকর্মের ৭ টি মামলা রয়েছে সদর থানায়। মামলার অন্য আসামিদের ধরার জন্য চেষ্টা চলছে।
মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি