ঢাকা, ১২ জ্যৈষ্ঠ (২৬ মে) :

সেবা গ্রহিতাদের হয়রানি বন্ধ এবং দুর্নীতি প্রতিরোধের লক্ষ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা
বিভাগ ও তার অধীন সকল দপ্তর ও সংস্থায় অভিযোগ বক্সগুলো সচল করার নির্দেশ দিয়েছেন
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ আবু বকর ছিদ্দীক এবং এই অভিযোগ বক্সের চাবি
থাকবে অফিস প্রধানের কাছে। তিনিই খুলবেন। মাসে একবার খুলা হবে এই অভিযোগ বক্স। খোলার
পরে কোনো কিছু না পড়েই প্রত্যেক অভিযোগ আগে রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করতে হবে এবং প্রত্যেক
মাসে অভিযোগের বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা বিভাগের মাসিক সমন্বয় সভায় আলোচন হবে
বলে তিনি সভায় জানিয়েছেন।

দুর্নীতি দমন কমিশন কতৃক প্রদত্ত মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের দুর্নীতির প্রতিবেদন
এবং তা প্রতিরোধে করণীয় সংক্রান্ত সুপারিশমালার বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে লক্ষ্যে
মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় তিনি এই নির্দেশ দেন। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা
বিভাগের সচিব মোঃ আবু বকর ছিদ্দীকের সভাপতিত্বে সভায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং অধীনস্ত বিভন্ন দপ্তর ও সংস্থার প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।

সচিব বলেন শিক্ষা সব কিছুর ওপরে। শিক্ষাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা যদি আলোকিত না হয়
তাহলে অন্যরা কিভাবে আলোকিত হবে। আমাদের উদাহরণ স্থাপন করতে হবে। আমাদের সততা,
নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে। তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের বিভিন্ন
দপ্তর, সংস্থার দুর্নীতির বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রদত্ত প্রতিবেদনের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে
আলোচনা করেন এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও বিভাগকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। তিনি বলেন
বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আর্থিক এবং প্রশাসনিক
অনিয়মও দুর্নীতির তথ্য উদঘাটনের দায়িত্ব পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের। মূলত এই
প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেই দুর্নীতির পঙ্কিলে নিমজ্জিত হওয়ার অভিযোগ করেছে দুদক। তিনি গত দশ
বছরে দুর্নীতি অনুসন্ধানে এই প্রতিষ্ঠান কার্যকর কী পদক্ষেপ নিয়েছে তার প্রতিবেদন দিতে
নির্দেশ প্রদান করেছেন।

এছাড়া শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কোনো কর্মকর্তা বেনামে ঠিকাদারির সাথে জড়িত কি
না তার তথ্য জানতে চেয়েছেন তিনি এবং পাঠ্যপুস্তক মুদ্রনের টেন্ডার প্রক্রিয়া, পাঠ্য বইয়ের
পাণ্ডুলিপি কতিপয় প্রকাশকের নিকট অননুমোদিতভাবে সরবরাহসহ অবৈধ কোচিং বাণিজ্য বন্ধে
কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ প্রদান করেন তিনি।