ঢাকা, ১১ফাল্গুন (২৪ ফেব্রুয়ারি) :
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, মালয়েশিয়ার সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও অর্থনৈকিত
সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ)
স্বাক্ষর করা প্রয়োজন। এফটিএ স্বাক্ষরের বিষয়ে উভয় দেশের আলোচনা অনেক এগিয়ে গেছে। এতে
উভয় দেশ উপকৃত হবে। বাংলাদেশ তৈরি পোশাক, পাটজাত পণ্য, প্লাস্টিক, হালকা যন্ত্রপাতি ও
চামড়াজাত পণ্যসহ বিভিন্ন পণ্য মালয়েশিয়ায় রপ্তানি করছে বলে বাণিজ্যমন্ত্রী এ সময় জানান।
বাণিজ্যমন্ত্রী আজ সচিবালয়ে তাঁর অফিস কক্ষে বাংলাদেশে সফররত মালয়েশিয়ার প্ল্যান্টেশন,
ইন্ডাস্ট্রি এবং কমোডিটি বিষয়ক মন্ত্রী দাতুক হাজাহ জুরাইদা বিনতে কামারুদ্দিন (Datuk Hajah
Zuraida Binti Kamarunddin )এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা সভায় এসব
কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ৩০৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের
পণ্য মালয়েশিয়ায় রপ্তানি করেছে। একই সময়ে ১ হাজার ৫৭৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য
আমদানি করেছে। মালয়েশিয়ার পাম ওয়েল, ফার্নিচার, চকলেট, ফলমূলসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের প্রচুর
চাহিদা রয়েছে বাংলাদেশে। মালয়েশিয়া বাংলাদেশে এসকল পণ্যের কারখানা স্থাপন করলে অধিক লাভবান
হবে। এখানে প্রচুর দক্ষ জনশক্তি রয়েছে, ফলে কম খরচে এ সকল পণ্য উৎপাদন করা সম্ভব। তিনি
আরো বলেন, বাংলাদেশ মালয়েশিয়া থেকে বিপুল পরিমাণ পাম্পওয়েল আমদানি করে থাকে। বাংলাদেশের
ফার্নিচার শিল্প দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন দেশের সাথে ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলোতে প্রচুর
ফার্নিচারের চাহিদা রয়েছে।
মালয়েশিয়ার মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মালয়েশিয়ার বন্ধুরাষ্ট্র এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক
অংশীদার। উভয় দেশের চলমান ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরো বৃদ্ধি করার সুযোগ
রয়েছে। বিশেষ করে মালয়েশিয়ার ফার্নিচার, রাবারজাত পণ্য, চকলেট ও শুকনো খাদ্যপণ্যের চাহিদা
বাংলাদেশে রয়েছে। উভয় দেশ বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে কাজ করতে পারে। মালয়েশিয়া
বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য ও অর্থনৈকিত সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে আগ্রহী।
এসময় বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, মালয়েশিয়ার বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, মালয়েশিয়া
পামওয়েল বোর্ড, পামওয়েল কাউন্সিল, টিম্বার কাউন্সিল, রাবার বোর্ড- এর উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ
উপস্থিত ছিলেন।