দেশের নন্দিত অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে নির্মিত ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন। সিনেমাটি আজ (১৩ অক্টোবর) দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে।
‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমায় ফজলুর রহমান বাবু খন্দকার মোশতাকের চরিত্রে রূপদান করেছেন। সিনেমায় অভিনয়ের বিভিন্ন দিক নিয়ে জাগো নিউজের সঙ্গে কথা ফজলুর রহমান বাবু। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন- মিজানুর রহমান মিথুন।
এ সিনেমায় আমি খন্দকার মোশতাকের ভূমিকায় অভিনয় করেছি। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি ঘৃণ্য চরিত্র। আমি নিজেও এই চরিত্রটিকে ঘৃণা করি। তিনি মুজিব হত্যার অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী ছিলেন। আমরা তো ষড়যন্ত্রকারীদের ঘটনা ঘটার পরে চিনতে পারি। খন্দকার মোশতাকেও আমরা পঁচাত্তরের কলঙ্কজনক ঘটনা ঘটার পরে চিনতে পেরেছি। এর আগে খন্দকার মোশতাক বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে থেকেছে, খেয়েছে। তার সঙ্গে ঘুরেছে। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তার অনেক ঘটনা রয়েছে। সেই ঘটনাগুলো আমি আমার চরিত্রটির মধ্য দিয়ে সিনেমায় তুলে ধরার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।
এই সিনেমায় অভিনয় করা আমার জন্য বিরাট সুযোগ। ছোট চরিত্র হোক, বড় চরিত্র হোক, খল চরিত্র হোক, নেগেটিভ চরিত্র হোক- এখানে অংশগ্রহণ করাটাই হচ্ছে বড় ব্যাপার। এটি বায়োপিক হলেও এটি যখন মানুষ দেখবে, তখন সবার কাছে একটা সিনেমা দেখার ফিল (অনুভব করবে) হবে। একটা ডকুমেন্টারি মনে হবে না। একটা ডকুফিল্ম মনে হবে না। এটা একটা ফিচার ফিল্ম মনে হবে। এই সিনেমার মধ্য দিয়ে আমরা বঙ্গবন্ধুর সেই শৈশব থেকে শুরু করে যৌবন, দেশের জন্য সংগ্রাম, তার রাজনীতি এবং তার জীবনের শেষ ট্রাজেডি দেখতে পাব।’
এ সময় এ সিনেমার আমার যারা কলাকুশলী ছিলাম সবাই বঙ্গবন্ধু জেষ্ঠ্য কন্যা শেখ হাসিনার সান্নিধ্য পাই। প্রধানমন্ত্রী সিনেমাটি দেখার পর সবার সঙ্গে কথা বলেন। প্রত্যেকের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা আলাপ করেন। তিনি আমাদের অনেক সময় দিয়েছেন। তিনি তো আসলেই একজন সংস্কৃতি বান্ধন মানুষ। শিল্পী বান্ধব প্রধানমন্ত্রী। তিনি শিল্পীদের যোগ্য সম্মান ও ভালোবাসা দিতে জানেন।
আমাদের শিল্পীদের সবার সঙ্গেই তিনি কথা বলেছেন। আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিলাম- ‘আপা আমি এ সিনেমায় খারাপ মানুষের চরিত্রে অভিনয় করেছি।’ এ কথা শুনে তিনি বলেন, ‘এটা তো তোমার সিনেমায় চরিত্র। তুমি তো আর খারাপ মানুষ না।’
ফজলুর রহমান ববু আরও বলেন, ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’সিনেমায় শুধু আমার চরিত্র নয়, অন্যান্য অভিনেতা- অভিনত্রেীর অভিনয় দেখার জন্য প্রেক্ষাগৃহে সবাই যাবেন। আমার বিশ্বাস সাধারণ দর্শক যারা, তারা এ সিনেমাটি উপভোগ করবেন। অনেক কিছু জানতে পারবেন। শিখতে পারবেন। সিনেমাটি দেখে কোথাও আন্দোলিত হবেন। কোথায় ব্যথিত হবেন। কোথায়ও হয়তো হাসবেন। এবং পরিশেষে সবাই কাঁদবেন।’