মূল্যস্ফীতির পাগলা ঘোড়া বাগে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। তিনি বলেছেন, একটি সুখবর আছে— মূল্যস্ফীতির পাগলা ঘোড়ার লাগাম টানা সম্ভব হয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যে মূল্যস্ফীতির তথ্য প্রকাশ করা হবে। আগস্টে মূল্যস্ফীতি বেড়েছিল। কিন্তু সেপ্টেম্বরে সেটি কমেছে। এর কারণ হচ্ছে— এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে চার কোটি লোক সুবিধা পাচ্ছে। সেই সঙ্গে সরকারের নানা উদ্যোগের ফলে যারা সরাসরি মূল্যস্ফীতিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তারা উপকৃত হচ্ছে। ফলে মূল্যস্ফীতিতে লাগাম টানা সম্ভব হয়েছে।
সোমবার বিডিএসের এক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। রাজধানীর আগরগাঁওয়ে বিআইডিএসের সম্মেলনকক্ষে এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। গেস্ট অব অনার ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা সচিব মামুন-আল-রশীদ, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন ও বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মতিউর রহমান। সভাপতিত্ব করেন বিআইডিএসের মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন। বক্তব্য দেন জনশুমারি ও গৃহ গণনা প্রকল্পের পরিচালক মো. দিলদার হোসেন, পিইসি কার্যক্রমের সমন্বয়কারী ড. ইউনূস।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে জনশুমারির তদারকি শুরু হচ্ছে ১০ অক্টোবর। দেশের ৩৫৪টি নমুমা এলাকায় নতুন করে তথ্য সংগ্রহ শুরু করা হবে। ৯ অক্টোর রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে শুরু হয়ে এ কার্যক্রম চলবে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত।
তিনি বলেন, আমরা তথ্যেও কোনো ইঞ্জিনিয়ারিং করব না। শুধু প্রক্রিয়াগত কারণে এটি দেরি হয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, জনগণের টাকা ব্যয় করে এই শুমারি করা হয়েছে। এখন পিইসিও করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, যাতে বড় অংকের এই টাকার সঠিক ব্যবহার হয়। এই টাকা খরচের দায়িত্ব যেমন বিরল সন্মানের তেমনি গুরুত্বপূর্ণও। আপনারা স্বাধীনভাবে কাজ করুণ। আমি বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষ হিসেবে বলছি— কাজের ক্ষেত্রে কোনো সম্যস্যা নেই। আমি কোনো দলের বা ব্যবস্থার প্রতি নয়, দেশের প্রতি অনুগত থেকে কাজ করছি।
ড. শামসুল আলম বলেন, নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও বিবিএস একটি ভালো শুমারি করেছে। এখন সেটির পরীক্ষা করা হচ্ছে। বিবিএসকে আরও একটু স্বাধীনতা দেওয়া উচিত। ভারতে পরিসংখ্যান সংস্থান যেভাবে স্বাধীনতা ভোগ করে বাংলাদেশে সেটি হচ্ছে না। পরিসংখ্যান ব্যুরোকে আরও হালনাগাদ তথ্য দিতে হবে।