ভোলা প্রতিনিধিঃ দ্বীপ জেলা ভোলা। এর চারপাশে নদ- নদী দ্বারা বেষ্টিত। প্রত্যেক বছরের মতো এবারও নির্দিষ্ট সময় মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে ইলিশ পড়ছে। জেলে পল্লীতে খুশির উল্লাসে মেতে উঠে।
সদর উপজেলার বিভিন্ন মাছ ঘাট ঘুড়ে ঘুড়ে দেখা যায়, গতকয়েক দিন আগে থেকেই জেলেদের জালে ইলিশ পড়ছে। তাছাড়া, দেশের মৎস্য সম্পদ বিভাগও বলছে, গত চারপাঁচ দিন নদীতে ইলিশ পড়ছে। জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পড়ছে। গতকয়েক বছরের চেয়ে এবারই বড় বড় সাইজের ইলিশ জেলেদের জালে পড়ছে।
দৌলতখান উপজেলার বিভিন্ন মাছ ঘাটে গিয়ে বড় সাইজের ইলিশের সন্ধান পাওয়া যায়। এখানকার ঘাটগুলোতে প্রচুর ইলিশ।
বোরহানউদ্দিন উপজেলার বিভিন্ন মাছঘাটে গিয়েও বড় ও মাঝারি সাইজের ইলিশ দেখা যায়। তবে এখানে বিভিন্নঘাটের আড়ৎদার ও জেলেদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা গেছে। অনেকেই বলছেন বড় সাইজের মাছ পাওয়া যায়। তবে বোরহানউদ্দিন উপজেলার তেতুলিয়া নদীতে অবৈধ জালে সয়লাব। দেখার মত কেউ নেই। লোকদেখানো একটি অভিযান হলেও কাজের কাজ কিছুই হয় না। এখনো শত শত অবৈধ জাল তেতুলিয়া নদীতে।
এদিকে, তজুমদ্দিন উপজেলায় বিভিন্ন মাছের ঘাট ঘুরে ইলিশ দেখা যায়। তবে লালমোহন উপজেলার তেতুলিয়া নদীতে ইলিশ আছে। অবৈধজালে ভরপুর তেতুলিয়া নদী। যদি প্রশাসন এখানকার অবৈধজাল অপসারণ করে তবে, জেলেরা ইলিশ পাবে বলে আশা করছে।
এখন যে পরিমান ইলিশ জেলেদের জালে পড়ে। এর চেয়ে ভরা মৌসুমে আরও বেশি ইলিশ ধরা পড়বে বলে আশা করছে স্থানীয় জেলেরা।
তবে, ইলিশ নেই নদীতে? এমন প্রশ্ন করলে স্থানীয় জেলে সিরাজ মাঝি বলেন, ওরা মায়ের দুধ খেয়েও বলবে খাই নাই। ওরা এমন মিথ্যা বলবে।
তিনি বলেন, মাছ নাই? কেমনে থাকব। জেলেরা দাদন নিছে, হেই দাদনের টেহা দেওয়া লাগব। যার কারণে কয় নদীতে মাছ নাই।
জাল, সুতা কিনছে, সেখানে বাকি আছে। হেই টেহা দেওন লাগব। মাছ পাই না বললেই তো খালাস। কাউকে দেওয়া লাগব না।