অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদের মধ্যে লোভ, লালসা ছিল না। ভোগের জন্য নয়, ত্যাগের জন্যই তিনি রাজনীতিতে এসেছিলেন। তিনি দেশ ও মানুষের জন্য সারা জীবন ত্যাগ করে গেছেন। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি সততা বজায় রেখেছিলেন, যা বর্তমান ভোগের রাজনীতির সম্পূর্ণ বিপরীত।
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এই সভার আয়োজন করে ন্যাপ।
মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) সাবেক সভাপতি মোজাফ্ফর আহমদের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, আত্মগোপনের সময় মোজাফ্ফর আহমদ মানুষকে সংগঠিত করেছেন। মোজাফ্ফর আহমদ জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত রাজনীতির প্রতি সততা বজায় রেখে গেছেন।
বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া বলেন, দলে দলে অনেকেই আওয়ামী লীগার হয়েছে। তাই আজকে মোজাফ্ফর আহমদের ত্যাগের মহিমায় এগিয়ে যেতে হবে।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোজাফফর হোসেন বলেন, দেশে প্রগতিশীল শক্তির উত্থান আমরা চাই। আমরা চাই, আপনারা আওয়ামী লীগের বিকল্প শক্তি হোন।
জাতীয় পার্টির (জেপি) সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম বলেন, সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে আপস করে নয়, তাদের পরাজিত করে মুক্তিযুদ্ধের আলোকে এ দেশকে গড়ে তুলতে হবে—এমন শিক্ষা পাই মোজাফ্ফর আহমদের কাছ থেকে।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে ন্যাপের দায়িত্বপ্রাপ্ত কার্যকরী সভাপতি ও মোজাফ্ফর আহমদের মেয়ে আইভি আহমেদ বলেন, আপনারা এখন যে রাজনীতি দেখেন, বাবা ছিলেন এর ঠিক বিপরীত। তিনি ও তাঁ মতো নেতারা সব সময় ত্যাগ করে গেছেন। ভোগের জন্য নয়, ত্যাগের জন্য রাজনীতিতে তিনি এসেছিলেন।
স্মরণসভা সঞ্চালনা করেন ন্যাপের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন। এ সময় বক্তব্য দেন ন্যাপের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মো. আলী খান, কাজী সিদ্দিকুর রহমান, আবদুল মান্নান, গণতান্ত্রিক মজলুম পার্টির সভাপতি জাকির হোসেন প্রমুখ।