ঢাকা, ১৩ ভাদ্র (২৮ আগস্ট) :
মৎস্য খাত বাংলাদেশে একটি সোনালী অধ্যায় সৃষ্টি করছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
আজ রাজধানীর মৎস্য ভবনে মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ, ২০২১ উপলক্ষ্যে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী একথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা হচ্ছে ভাতে-মাছে বাঙালির চিরন্তন বৈশিষ্ট্য ফিরিয়ে আনতে হবে। দেশের মৎস্য খাতকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে বিকশিত করছেন এ ধারাকে অব্যাহত রেখে মৎস্য সম্পদে বিশ্বে দেশ অনন্য-অসাধারণ জায়গায় পৌঁছে যাবে। এ লক্ষ্য নিয়ে মৎস্য খাতকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে এবারের মৎস্য সপ্তাহ উদ্যাপন হতে যাচ্ছে।
এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, ‘বেশি বেশি মাছ চাষ করি, বেকারত্ব দূর করি’ এ প্রতিপাদ্যে ২৮ আগস্ট থেকে ৩ সেপ্টেম্বর জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদ্যাপন করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, করোনার কারণে বিদেশ থেকে অনেক প্রবাসীরা বেকার হয়ে দেশে ফিরছেন। করোনায় সৃষ্ট বেকারদের পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে দেশের মৎস্য খাত একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। মাছ চাষের মাধ্যমে বেকারত্ব লাঘব হচ্ছে, আর্থিক স্বচ্ছলতা বাড়ছে এবং উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে। মাছ রপ্তানির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ আয় হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, সরকার গৃহীত পদক্ষেপে ইলিশের আকার বৃদ্ধি পেয়েছে, পরিমাণ বেড়েছে। জাটকা নিধন বন্ধ করার সুফল এখন দৃশ্যমান। বিলুপ্তপ্রায় ৩১ প্রজাতির দেশিয় মাছকে বৈজ্ঞানিক উপায়ে কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে ফিরিয়ে আনা হয়েছে এবং সেটা সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। মৎস্যজাত পণ্য তৈরির খাতকেও সরকার উৎসাহিত করছে। দেশের বৈচিত্র্যময় অঞ্চল তথা হাওর অঞ্চল, পার্বত্য অঞ্চল, উপক‚লীয় অঞ্চলে সরকার ভিন্ন ভিন্ন প্রকল্প নিচ্ছে। মাছকে নিরাপদ রাখার জন্য সরকার অভয়াশ্রম করেছে। নদীতে যাতে মাছের প্রজনন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এবং মাছ বেড়ে উঠতে পারে সে জন্য প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সমন্বিতভাবে কাজ করছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, মৎস্য খাদ্যে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর উপাদান আছে কি না তা পরীক্ষার জন্য সরকার আন্তর্জাতিকমানের পরীক্ষাগার করেছে। মাছ রপ্তানির জন্য পরীক্ষা করে ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে, যাতে বিদেশে পাঠানো মাছের চালান দেশে ফেরত না আসে। দেশের অভ্যন্তরের বাজারেও নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ, অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, সুবোল বোস মনি ও মোঃ তৌফিকুল আরিফ, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস্ আফরোজ, বিএফআরআই-এর মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ ও মৎস্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।