অবিভক্ত বাংলার প্রথম জেলা, দেশের প্রথম স্বাধীন জেলা, প্রথম ডিজিটাল জেলা। ফুলের শহর ও সাংস্কৃতিক রাজধানী। এমন অনেক কিছুতেই প্রথম ও বিভিন্ন বিশেষণে ভূষিত শহর যশোর আবারো নাম লিখিয়েছে ইতিহাসে। শিক্ষার সে ইতিহাসে যুক্ত হয়েছে নতুন নাম ও নতুন অধ্যায়। যশোর শিক্ষা বোর্ড প্রথম নারী চেয়ারম্যান হিসেবে কিছুদিন আগে অভিষিক্ত হয়েছেন প্রফেসর মর্জিনা আক্তার। তাকে বরণ করে নিতে নানা আয়োজন করেন খুলনা বিভাগের নারী প্রধান শিক্ষকবৃন্দ।
শনিবার যশোর শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড যশোরের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান প্রফেসর মর্জিনা আক্তারের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল থেকেই দলে দলে আসতে শুরু করেন দক্ষিণবঙ্গের ১০ টি জেলা শহরের শিক্ষকবৃন্দ। আইটি পার্ক চত্বর হয়ে ওঠে শিক্ষকদের মিলনমেলায়। প্রফেসর মর্জিনা আক্তারকে ফুল দিয়ে ও উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করা হয়। আরো দেয়া হয় সম্মাননা ক্রেস্ট। শিক্ষকদের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয় গান ও আবৃত্তি। নৃত্য পরিবেশন করেন সাংস্কৃতিক কর্মীবৃন্দ। হাসি, গান, নাচ, খাওয়া-দাওয়া চলে পুরো অনুষ্ঠান জুড়ে। সমাজ গড়ার কারিগর শিক্ষকদের দৈনন্দিন জীবনের দায়িত্ব কর্তব্যের বাইরে একটি দিন যেন তারা নিজেদের অন্যভাবে আবিষ্কার করেন। শিক্ষকদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানস্থল প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খুলনা জেলা শিক্ষা অফিসার ফারহানা নাজ। প্রধান অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা-১ সংরক্ষিত সংসদ সদস্য লায়লা পারভিন সেঁজুতি। বিশেষ অতিথি ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড যশোরের বিদ্যালয় পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে যশোর, খুলনা, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা, নড়াইল, মেহেরপুরসহ দক্ষিণবঙ্গের ১০ টি জেলার ১৪০ জন শিক্ষক অংশ নেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন শিক্ষক শ্রাবণী সুর।