গাজার সবচেয়ে বড় চিকিৎসাকেন্দ্র আল-শিফা হাসপাতাল এক ঘণ্টার মধ্যে খালি করার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। হাসপাতালটি তিন দিন ধরে অবরুদ্ধ রেখে অভিযান পরিচালনার পর শনিবার (১৮ নভেম্বর) এই নির্দেশনা দিলো ইসরায়েল।

গত ১৫ নভেম্বর আল-শিফা হাসপাতালের ভেতরে অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। রোগী, চিকিৎসাকর্মী ও আশ্রয় নেওয়া মিলিয়ে ৭ হাজার লোক হাসপাতালটিতে আটকা পড়েছে। শনিবার হাসপাতালটির আইসিইউতে থাকা সব রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় আল জাজিরা। এর পরপরই হাসপাতালটি খালি করার নির্দেশ দিলো ইসরায়েলি বাহিনী।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, চিকিৎসক-রোগী ও আশ্রয় নেওয়া সাধারণ মানুষসহ সবাইকে এক ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতাল ও এর প্রাঙ্গণ ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

একজন চিকিৎসকের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আমাদের সবাইকে এক ঘণ্টা সময় বেধে দিয়েছে। এর মধ্যে আমাদের আল-রশিদ সড়ক দিয়ে অনত্র সরে যেতে বলেছে। এটিকে আমরা সমুদ্র সড়ক বলে ডাকি।

ওই চিকিৎসক বলেন, গাজার দক্ষিণ দিকে যাওয়ার জন্য যে সড়ক ব্যবহার করা হচ্ছে, এটি সেই সড়ক নয়। দক্ষিণ দিকে যাওয়ার জন্য মূলত সালাহ আল-দিন সড়ক ব্যবহার করা হয়।

তিনি আরও জানান, ইসরায়েলিদের বেধে দেওয়া সময়ের মধ্যে সব মানুষকে হাসপাতাল থেকে সরিয়ে নেওয়া অসম্ভব। কারণ আশঙ্কাজনক রোগী ও ইনকিউবেটরে থাকা শিশুদের অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার কোনো অ্যাম্বুলেন্স নেই।

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) হাসপাতালটির পরিচালক মুহাম্মদ আবু সালমিয়া বলেন, হাসপাতালের চারদিকে ইসরায়েলি ট্যাংক ঘিরে রয়েছে। উপর দিয়ে ওড়ানো হচ্ছে ড্রোন। ইসরায়েলি বাহিনী হাসপাতালটিতে কাউকে ঢুকতে বা বের হতে দিচ্ছে না। ফলে এটি এখন বড় কারাগার ও গণকবরে পরিণত হয়েছে।

সূত্র: আল জাজিরা