যুদ্ধবিরতির চুক্তি ঘোষণার পরও গাজায় অব্যাহত রয়েছে ইসরায়েলি তাণ্ডব। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) ঘোষণা আসার পর মাত্র কয়েক ঘণ্টায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে প্রাণ হারিয়েছে কমপক্ষে আরও ৪০ ফিলিস্তিনি।

সবচেয়ে তীব্র হামলা হয়েছে রেদওয়ান এলাকায়। শুধু সেখানেই নিহত হয়েছে ২০ জন। ভয়াবহ হামলা হচ্ছে খান ইউনিসের কিজান রাশওয়ান এলাকাতেও। ২ জনের প্রাণহানির খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। শঙ্কা করা হচ্ছে আরও বাড়বে নিহতের সংখ্যা।

২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলে হামাসের নজির বিহীন হামলার পর থেকেই টানা ১৫ মাস ধরে চলছে নেতানিয়াহু বাহিনীর আগ্রাসন। হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৪৬ হাজার ৭শ’ ফিলিস্তিনি, আহত ১ লাখ ১০ হাজারের বেশী।

যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্তে মধ্যস্থতা করছে তিনটি দেশ—কাতার, মিশর ও যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার রাতে কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জসিম আল-থানি দোহায় এক সংবাদ সম্মেলনে যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্তের কথা নিশ্চিত করেন। কাতারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, গাজায় যুদ্ধবিরতির যে চুক্তি হয়েছে তা ১৯ জানুয়ারি, রোববার থেকে কার্যকর হবে।

চুক্তি অনুযায়ী প্রথম ধাপে ৩৩ জন ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দেবে হামাস, যাদের মধ্যে সব নারী, শিশু ও ৫০ বছরের বেশি বয়সী পুরুষরা রয়েছেন।