ঢাকা, ২৯ ভাদ্র (১৩ সেপ্টেম্বর) :
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক তরুণ ও যুব সমাজই
উন্নয়নের চালিকাশক্তি উল্লেখ করে বলেছেন, তাদেরকে ভবিষ্যতের উপযোগী করে গড়ে
তুলতে তথ্যপ্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জনের বিকল্প নেই। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের
আইসিটি মেধা বিকাশে হুয়াওয়ের ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’ ভবিষ্যৎ উপযোগী প্রযুক্তিগত
দক্ষতা বিকাশেই নয়, পাশাপাশি একটি ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার মাধ্যমে এই খাতে দক্ষ
ব্যক্তিদের কাজের সুযোগ করে দিচ্ছে।
আজ ভার্চুয়াল মাধ্যমে হুয়াওয়ে টেকনোলজিস বাংলাদেশ লিমিটেডের উদ্যোগে
আয়োজিত ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার ২০২১’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির
বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং তাঁর আইসিটি বিষয়ক
উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদের নির্দেশনায় ইতিমধ্যেই প্রায় ১ হাজার ২৩২টি সরকারি
সেবা ডিজিটাইজড করা হয়েছে। সরকার ২০২১ সালের মধ্যে আরো প্রায় ৮০০টি পরিষেবা
ডিজিটাইজ করার জন্য কাজ করছে। জনগণ যাতে আরো সহজে এবং সাবলীলভাবে সেবা পায়
সেজন্য সরকার এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, জাতীয় হেল্পলাইন ৩৩৩
চালু রয়েছে। এই হেল্পলাইন দেশবাসীকে ডিজিটাইজেশন নীতিতে অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত
করেছে।
স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সরকার একটি জাতীয় ওয়েব পোর্টাল চালু করেছে। এই
পোর্টালে ৫১ হাজার ৫১২টিরও বেশি সমন্বিত ওয়েবসাইট রয়েছে যাতে বাংলাদেশের
নাগরিকরা পাবলিক অফিস, মন্ত্রণালয় এবং অন্যান্য বিভাগের তথ্য সহজে পেতে পারে।
উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাপী এসটিইএম (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশলবিদ্যা ও গণিত)
এবং নন-এসটিইএম বিষয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য হুয়াওয়ের ফ্ল্যাগশিপ সিএসআর
প্রোগ্রাম ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’ স্থানীয় শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশ, জ্ঞান প্রদান এবং
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাত সম্পর্কে আরো আগ্রহ তৈরিতে কাজ করবে। ২০১৪ সালে
বাংলাদেশে চালু হওয়া এই প্রোগ্রামটি সারাবিশ্বে প্রায় দশ বছর ধরে মেধা বিকাশে কাজ
করে যাচ্ছে।