জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এতে দেশের অনেক কিছুরই পরিবর্তন হয়েছে। সরকার পরিবর্তন থেকে শুরু করে পরিবর্তন করা হয়েছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নাম। শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার নামে থাকা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাষণ দেওয়ার ঘোষণার পর শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

এর পরপরই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ‘বুলডোজার মিছিলের’ ডাক দেয়।

জানা যায়, গতকাল বুধবার রাত ৮টার দিকে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর বাড়ির ফটক ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় সেখানে ভাঙচুর চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করেন তারা। পরে রাত পৌনে ১১টার দিকে শেখ হাসিনার ধানমণ্ডি ৫ নম্বরের বাসভবন সুধা সদনেও আগুন দেন তারা।

ধানমণ্ডির এ ঘটনার পরপরই দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার নামে থাকা স্থাপনার নাম পরিবর্তন ও ম্যুরাল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পরিবর্তন করে করা হয় ‘জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হল’। বিজয় ৭১ ও অমর একুশে হলের নামফলক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় শেখ হাসিনার নাম। শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নয়- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার নামে থাকা হলগুলোর নাম পরিবর্তন করে নতুন নামকরণ করা হয়।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার ম্যুরাল অপসারণ করা হয়েছে। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়, ভেঙে ফেলা হয় নামফলক।

এর আগে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পরিবর্তন করে ‘বিজয়-২৪ হল’ এবং শেখ হাসিনা হলের নাম পরিবর্তন করে নাম রাখা হয় ‘সুনীতি-শান্তি হল’।