সুইডেনে বার বার পবিত্র কোরআন পোড়ানোর প্রতিবাদে গত ৭ জুলাই সারাবিশ্বের মুসলিমরা একসঙ্গে প্রতিবাদ করে। এদিন বিশ্বের দেশে দেশে বিক্ষোভ, প্রতিবাদ, আলোচনা সভার মাধ্যমে এ প্রতিবাদ করা হয়। অনেক রাষ্ট্রপ্রধান এক ব্যাপারে বিবৃতি দেন। এবং সু্ইডেনের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে নিয়ে কড়া ভাষায় প্রতিবাদ করা হয়। বিশেষ করে ইরান, ইরাক, কুয়েত, মরোক্ক, পাকিস্তান ও তুরস্ক এ ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি ভূমিকার পালন করেছে। ইরান ঘোষণা দিয়েছে তারা আর কখনো সুইডেনে রাষ্ট্রদূত পাঠাবে না। পাকিস্তানের অনুরোধে জাসিংসঘে বিশেষ অধিবেশন বসে।
অন্যদিকে পশ্চিমা দেশগুলোতে ইসলামফোবিয়া ও জেনোফোবিয়া মোকাবিলায় সম্মিলিত পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। আজ রোববার টিআরটি ওয়ার্ল্ডের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গতকাল শনিবার এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেছেন, সুইডেনে ঈদুল আযহার প্রথম দিনে আমাদের পবিত্র গ্রন্থ কোরআনের ওপর জঘন্য হামলা ইসলামফোবিয়ার ভয়ঙ্কর মাত্রা প্রকাশ করেছে।
এমন কর্মকাণ্ড রুখতে তিনি সকল মুসলমানের দায়িত্বের ওপর জোর দেন। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, আমাদের সকলের- সমস্ত মুসলমানের এ ধরনের কাজগুলো যাতে আর না ঘটে তা নিশ্চিত করা আমাদের মহান দায়িত্ব। আমরা যদি সকলে একজোট হয়ে সেই দায়িত্ব পালন করি তাহলে বিশ্বে কেউ মুসলমানদের পবিত্রতাকে আক্রমণ করার সাহস করবে না।
এসময় তিনি পাকিস্তানের সঙ্গে তুরস্কের গভীর সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেছেন।
গত ২৮ জুন ঈদের দিনে সুইডেনের স্টকহোম শহরের কেন্দ্রীয় মসজিদের বাইরে কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় মুসলিম দেশগুলো কড়া নিন্দা জানিয়েছে। এর মধ্যে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এর তীব্র নিন্দা জানান।
এরপর স্বয়ং সুইডেন সরকার গত ৩ জুলাই কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় নিন্দা প্রকাশ করেছে। দেশটি একে ইসলামবিদ্বেষ বা মুসলিম-বিরোধী কার্যকলাপ হিসেবে উল্লেখ করেছে।