একটি রাজনৈতিক শক্তির পতনের পর আরেকটি রাজনৈতিক শক্তি ফিরে এসেছে। আর প্রশাসনকে সব সময় এই রাজনৈতিক শক্তির চাপেই থাকতে হয়। ফলে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তারা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন না। এই সরকারকে সফল হতে হলে রাজনৈতিক শক্তির চাপ কমাতে হবে।
ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের আমলে বালুমহাল, হাটবাজার ইজারা, সরকারি সম্পত্তি দখলসহ বিভিন্ন খাতে টাকার অবৈধ লেনদেন হয়েছে বড় পরিসরে। স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনসহ সব ক্ষেত্রে করা হয়েছে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ। ফলে অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা ও পেশাদারিত্বে বড় ধাক্কা খেতে হয়েছে মাঠ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা জেলা প্রশাসকদের (ডিসি)। এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি যেন আর হতে না হয়, সে জন্য আইনের শাসন ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ থেকে নিস্তার চান বিভাগীয় কমিশনার ও ডিসিরা। এ জন্য সুনির্দিষ্ট কিছু নীতিমালা প্রণয়ন ও সংস্কার চেয়েছেন তারা।
গতকাল রোববার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে তিন দিনের জেলা প্রশাসক সম্মেলনের প্রথম দিন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে মুক্ত আলোচনায় ডিসিরা এসব বিষয় তুলে ধরেন। বৈঠক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সম্মেলনের মুক্ত আলোচনায় একাধিক বিভাগীয় কমিশনার ও ডিসি বলেছেন, মাঠ প্রশাসনকে সেবামুখী করতে পেশাগত মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনা জরুরি। সংস্কারের আগে সমস্যার মূলে গিয়ে তা সমাধান করতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের ৬ মাস পরও মাঠ প্রশাসন কেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরোপুরি ঠিক করতে পারছে না, সেই উত্তর খুঁজতে হবে। এ কাজগুলো সঠিকভাবে করতে পারলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, ন্যায্য দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পাওয়া এবং মানুষের সব ধরনের সেবা নিশ্চত করা যাবে। আট বিভাগীয় কমিশনার ও ১২ ডিসি মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন।