নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি :
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ করে বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের স্বপ্ন ভুলে যান। পৃথিবীর সব দেশে যে নিয়মে নির্বাচন হয়, বাংলাদেশেও সেই একই নিয়মে নির্বাচন হবে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে। সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করবে না, শুধুমাত্র তাদের কাজে সাহায্য করবে। বিএনপির মতো হোণ্ডা-গুণ্ডা নিয়ে রাত ১১টায় ভোট শেষ করার দিন এখন শেষ। এসবের বিরুদ্ধে খেলা হবে। এদের মোকাবিলা করা হবে।
রোববার (২৩ অক্টোবর) বিকালে নারায়ণগঞ্জের ওসমানী স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। অনুষ্ঠিত সম্মেলনে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি আব্দুল হাই ও সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহিদ মো. বাদলকে স্ব-স্ব পদে পুনরায় বহাল রাখার ঘোষণা দিয়ে নতুন কমিটি তৈরির নির্দেশ দেন ওবায়দুল কাদের।
বৈরী আবহাওয়ার কারণে আগামী ২৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন বাতিল ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি। এ শাখার পরবর্তী সম্মেলনের তারিখ বা নতুন নেতৃত্ব ঘোষণা চলতি সপ্তাহেই দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, লাখ লোক আপনাদের সঙ্গে নেই। আমাদের সঙ্গে আছে। আজকের দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া সত্ত্বেও এই সম্মেলনই তার প্রমাণ। এই লাখ লাখ লোক নিয়েই খেলা হবে। এখন নদীর তরঙ্গ ধ্বনি শুনতে পাচ্ছেন কিন্তু ডিসেম্বর বিজয়ের মাসে শুনতে পারবেন জনতার সমুদ্রের গর্জন, শুনবেন জনতার বিজয়ের জয়ধ্বনি। ভোটচুরি ও ভোট জালিয়াতির বিরুদ্ধে খেলা হবে। হাওয়া ভবনের দুর্নীতি লুটপাটের বিরুদ্ধে খেলা হবে। নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে খেলা হবে। কত মানুষকে তোমরা হত্যা করেছো। আজ বড় বড় কথা বলে। তারা নাকি বাধা পাচ্ছে। আওয়ামী লীগের অফিসের সামনে থেকে আমাদের পিটিয়ে উঠিয়ে দিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে খেলা হবে।
এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে ঘিরে রোববার সকাল থেকেই ছিল পুরো নগরীতে ছিল সাজ সাজ রব। জেলার সব থানা ও উপজেলা ইউনিট থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী বাদ্য বাজনা, হাতি-ঘোড়ার গাড়ি আর ব্যানার ফেস্টুনসহ মিছিল নিয়ে যোগ দেন সম্মেলন স্থলে।
বিকাল ৩টা নাগাদ পুরো স্টেডিয়াম মাঠ ও গ্যালারি প্রায় ৪০ হাজার নেতাকর্মীতে পরিপূর্ণ হয়ে উঠে। একপর্যায়ে স্টেডিয়াম ছাপিয়ে হাজার হাজার নেতাকর্মীদের ঢল ছিল প্রধান সড়কসহ আশপাশের খালি জায়গায়।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাইয়ের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, নজরুল ইসলাম বাবু এমপি, আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট কাজী নজিবুল্লাহ হিরু, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, কার্যকরী পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট রিয়াজুল কবির কাওছার, আনোয়ার হোসেন, সাহাবউদ্দিন ফরাজী প্রমুখ।