ঢাকা, ১৮ কার্তিক (৩ নভেম্বর) :

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আগামীকাল ৪ নভেম্বর ‘রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন
পুরস্কার ২০১৯’ দিবস উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :

“শিল্পোন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ শিল্প মন্ত্রণালয় কর্তৃক
‘রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার ২০১৯’ প্রদান একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ।
শিল্পায়ন একটি জ্ঞানভিত্তিক ও সৃজনশীল প্রয়াস। টেকসই ও পরিবেশবান্ধব
শিল্পায়নের ওপর জাতির সামগ্রিক অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি নির্ভর করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনার নেতৃত্বে সরকার বিগত এক যুগে বাংলাদেশে শিল্পায়ন, ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ
প্রসারে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়ন, খাতভিত্তিক
প্রকল্প বাস্তবায়ন, শিল্পখাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনশক্তি তৈরি,
রপ্তানি পণ্য বৈচিত্র্যকরণ, বিনিয়োগ সহায়ক কর ও শুল্ক কাঠামো নির্ধারণ,
উদ্যোক্তাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও পুরস্কার প্রদান, সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের জন্য
বিশেষ প্রণোদনাসহ সরকারের বিভিন্ন উদ্যোক্তাবান্ধব ও সৃজনশীল কর্মসূচির ফলে
বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় বিনিয়োগের সবচেয়ে আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। এ সময়ে
তৃণমূল পর্যায়ে এসএমই শিল্প বিকশিত হয়েছে। আয়বর্ধক কর্মকাণ্ডে নারীর অংশগ্রহণ
উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে, প্রসার ঘটেছে মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের। ফলে জনগণের
মাথাপিছু আয় ও ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং শিল্প-কারখানায় পণ্য উৎপাদন ও বিপণন
ব্যবস্থা শক্তিশালী হয়েছে। শিল্পায়নের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং অর্থনৈতিক
প্রবৃদ্ধি অর্জনে সরকারের এ সকল উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রেক্ষাপটে বিশ্বব্যাপী উৎপাদন প্রক্রিয়ায় জ্বালানি
সাশ্রয়ী প্রযুক্তি, ন্যানো টেকনোলজি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ নতুন নতুন প্রযুক্তির প্রয়োগ
বাড়ছে। ফলে দেশে উৎপাদিত শিল্পপণ্য আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে তীব্র প্রতিযোগিতার
মুখোমুখি হচ্ছে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় রপ্তানি প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি রপ্তানি পণ্যের
বহুমুখীকরণে গুরুত্ব দেওয়া আবশ্যক। বেসরকারি খাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও
সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে শিল্প মন্ত্রণালয় নিয়মিত বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে
‘রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার’ প্রদান করে আসছে। আমি সম্মাননাপ্রাপ্ত সকল
শিল্পোদ্যোক্তাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমি আশা করি, এ উদ্যোগ

জ্ঞানভিত্তিক শিল্পায়নের চলমান ধারাকে সুসংহত করবে এবং এর মাধ্যমে সামগ্রিক জাতীয়
অর্থনৈতিক অগ্রগতির ধারা আরো বেগবান হবে। আমি অনুষ্ঠানের সার্বিক সাফল্য কামনা করি।

জয় বাংলা।

খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”