ঢাকা, ২৯ শ্রাবণ (১৩ আগস্ট) :

গত শনিবার (৬ আগস্ট) রাজধানীর উত্তরার কামারপাড়া এলাকায় গ্যারেজে বিস্ফোরণ হয়। সেদিনই তাদের সবাইকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। বিস্ফোরণে ৮ জনের কেউই আর বেঁচে রইলো না। সর্বশেষ মো. শাহিন মিয়া (২৫) নামে একজন শুক্রবার রাতে মারা গেছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শাহিন মিয়ার শরীরের ৪০ শতাংশ দগ্ধ ছিল। তিনি শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন।

ওই গ্যারেজে দগ্ধ ৮ জন হলেন- গ্যারেজ মালিক মো. গাজী মাজহারুল ইসলাম (৪৮), মো. মিজান (৩৫), মো. নূর হোসেন (৬০), মো. মাসুম মিয়া (৩৫), মো. আল-আমিন (৩০), মো. শরিফুল ইসলাম (৩২), মো. শাহিন (২৬) এবং মো. আলম (২৩)।

তাদের মাঝে মো. আলম (২৩) মারা যান শনিবার রাত ১০টার দিকে। এরপর সে রাতেই ২টার দিকে মারা যান গ্যারেজের মালিক গাজী মাজহারুল ইসলাম। এরপর মো. মাসুম আলী মারা যান সোমবার (৮ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে। এরপর একে একে চলে গেলেন বাকি সবাই।

গত শনিবার দগ্ধদের হাসপাতালে নিয়ে আসা মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম বলেন, উত্তরা কামারপাড়া এলাকায় রিকশা গ্যারেজের পাশাপাশি ভাঙারির ব্যবসা রয়েছে। ওই ভাঙারির দোকানে সেন্টের বোতলসহ অন্যান্য বোতল খোলার সময় হঠাৎ বিস্ফোরণ হয়। এতে রিকশার গ্যারেজে থাকা আটজন গুরুতর আহত হন।