নিউইয়র্ক, ১৪ জুন :
জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা
বলেছেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, টেকসই মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের মধ্যেই
নিহিত রয়েছে স্থায়ী সমাধান। একই সাথে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে সহায়তার জন্য
রাখাইন রাজ্যে কর্মসূচি বাড়াতে তিনি জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানান।
গতকাল জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে মিয়ানমার বিষয়ক মহাসচিবের বিশেষ দূত ড.
নোলিন হাইজারের ব্রিফিংয়ের পর প্রদত্ত বক্তব্যে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রদূত।
বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, জীবন বাঁচাতে নিজভূমি থেকে রোহিঙ্গাদের
পলায়নের পর পাঁচ বছর কেটে গেছে, কিন্তু তাদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের প্রতিশ্রুতি
অপূর্ণই রয়ে গেছে। সংকটের মূল কারণগুলো চিহ্নিত করে তা সমাধানের মাধ্যমে এর
পুনরাবৃত্তি রোধে জরুরিভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি
আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত। তিনি রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন উপযোগী সঠিক পরিস্থিতি
সৃষ্টিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরো এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রদূত ফাতিমা আরো বলেন, বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গাদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত
করতে বাংলাদেশ সবকিছুই করছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (ওআইসি) এবং
মিয়ানমারের স্বাধীন তদন্ত প্রক্রিয়ার (আইআইএমএম) সকল প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ
পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছে। রাষ্ট্রদূত ফাতিমা রোহিঙ্গাদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত এবং ঘটনার
পুনরাবৃত্তি রোধ করতে সকল দেশকে এ সংক্রান্ত চলমান জবাবদিহিমূলক ব্যবস্থায়
সহযোগিতা প্রদান ও তাদের প্রবেশাধিকার প্রদানে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।
আসিয়ান ও মিয়ানমারের মধ্যে পাঁচদফা ঐকমত্যের দ্রুত ও পূর্ণ বাস্তবায়নসহ
মিয়ানমারের সংকটের সমাধান খুঁজে বের করার প্রচেষ্টা গ্রহণের জন্য আসিয়ানের
প্রশংসা করেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি। দীর্ঘস্থায়ী রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী
রাজনৈতিক সমাধানের জন্য আসিয়ান সদস্য দেশ এবং এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলোর
সাথে সম্পৃক্ততা অব্যাহত রাখার জন্য মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূতের প্রতি আহ্বান
জানান রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।
মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূতের ব্রিফিং এর পর সদস্য রাষ্ট্রগুলো প্রদত্ত
বক্তব্যে আসিয়ানের পরিপূরক ভূমিকার প্রতি তাদের পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেন।
সদস্য রাষ্ট্রগুলো বাংলাদেশ সরকারের অনুকরণীয় মানবিক নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।