রৌমারী (কুড়িগ্রাম), ২০ আষাঢ় (৪ জুলাই) :
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন আজ কুড়িগ্রাম জেলার
রৌমারী উপজেলায় সম্প্রতি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন নদীভাঙন এলাকা পরিদর্শন
করেন। হঠাৎ বন্যায় নদীভাঙনে উপজেলার সাহেবের আলগা, ঘুঘুমারী, খোদাইমারী ও
কোদালকাঠির অনেক ঘরবাড়ি ও জমির ফসলের বিপুল পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। নদীভাঙন
রোধে বালির বস্তাসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহের জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে তিনি
নির্দেশ প্রদান করেন।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থানটিই এমন যে উজানে
ভারি বৃষ্টি হলে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা পানির নিচে তলিয়ে যায়।
আবার শুকনো মৌসুমে উজান থেকে পানি না এলে খরার কবলে পতিত হতে হয়। সম্প্রতি
আসাম ও মেঘালয়ে অতিরিক্ত বৃষ্টি হওয়ায় উত্তরাঞ্চলের প্রায় সব নদ-নদীর পানি
বেড়েছে এবং বহু এলাকা পানিতে প্লাবিত হয়েছে, বিশেষ করে নিম্নভূমি ও চরাঞ্চল। এতে
ফসল ও সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
তিনি ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের উদ্দেশে বলেন, বন্যা মোকাবিলা ও দুর্যোগ
ব্যবস্থাপনায় সরকার জোর প্রস্তুতি নিয়েছে। তিনি আরো বলেন, দেশে এখন করোনার
প্রকোপ চলছে। তাই এখনই স্থানীয় প্রশাসনকে বন্যা পুনর্বাসন কেন্দ্রগুলো সাজাতে হবে
স্বাস্থ্যবিধি মেনে, যাতে সেখানে গিয়ে নতুন করে কেউ সংক্রমিত না হন।
এ সময় স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং জনপ্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।