সাহিত্য সংস্কৃতিবিষয়ক পত্রিকা ‘নব ভাবন’ বৃহৎ কলেবরে প্রকাশ করেছে নদী সংখ্যা ১৪২৮।
আড়ম্বরপূর্ণভাবে তাদের এ সংখ্যাটি প্রকাশ হলো পত্রিকাটির জৈষ্ঠ্য-আষাঢ় সংখ্যা।
আব্দুল্লাহ অলিদ সম্পাদিত ৩১২ পৃষ্ঠার এ সাময়িকীটিতে রয়েছে গবেষণা প্রবন্ধ, সমালোচনা সাহিত্য,
প্রবন্ধ, ইতিহাস, ভ্রমণ, টিভি নাটক, চলচ্চিত্র, উপন্যাস, গল্প, কবিতা, ছড়া, মুক্তগদ্য ও কিশোর
আয়োজনসহ নিয়মিত কিছু ব্যতিক্রমী বিভাগ।
নব ভাবনার চলতি এ সংখ্যাটি নিয়ে বিভিন্ন শ্রেণির লেখক-পাঠকের মতামত তুলে ধরা হলো—
‘হাতে পেলাম সাহিত্য সংস্কৃতির ম্যাগাজিন নব ভাবনা নদী সংখ্যা। এতে তুখোর সব লেখক বন্ধুদের সাথে
আমারও একটি ছড়া স্থান পেয়েছে। ছড়া আছে বলে প্রশংসা করছি না। ওপার বাংলাসহ অনেক সাহিত্য
ম্যাগাজিন আমি পড়েছি। সত্যি কথা বলতে এমন নান্দনিক ম্যাগাজিন আমি খুব কম পড়েছি, বিশেষ কিছু ঈদ
সংখ্যা ছাড়া।’
‘প্রতিটি লেখার গেটাপ মেকাপ এবং ইলাস্টেশন আমাকে মুগ্ধ করেছে। বর্তমানে এমন সাহিত্য ম্যাগাজিন
বিরল। যারা সাহিত্যপ্রেমি, টুকটাক লেখা-লেখি করেন, অন্যের লেখা পড়তে ভালোবাসেন, অনুরোধ করব
সংখ্যাটি সংগ্রহে রাখুন। নব ভাবনা নদী সংখ্যা আপনার মনে গেঁথে দেবে লেখালেখির নতুন ভাবনা।’
মামুন সরকার, কবি ও ছড়াকার, গাজীপুর
‘নদী নিয়ে বিচ্ছিন্নভাবে অনেক লেখাই পড়েছি। তবে একমলাটে নদী নিয়ে এতো প্রবন্ধ, এতো গল্প, অনুগল্প,
ছড়া-কবিতা, গীতিকবিতা আর নদ-নদীর পরিচয় ও স্থিরচিত্র একসাথে উপভোগ করার সুযোগ একমাত্র ‘নব
ভাবনা’র মাধ্যমেই প্রথম। এজন্য নব ভাবনা টিম এবং নব ভাবনা সম্পাদনা ও প্রকাশনা পর্ষদ অবশ্যই
সাধুবাদ প্রাপ্য। এমন একটা সংখ্যায় আমারও এক কিশোর মনের কৌতুহলভিত্তিক অণুগল্প আছে। সেই
গল্পটা পড়তে পারেন…’
(মুস্তাফিজুল হক, শিশুসাহিত্যিক, শেরপুর)।
‘দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর হাতে পেলাম বহুল কাঙ্খিত নব ভাবনা নদী সংখ্যা। দৃষ্টিনন্দন প্রচ্ছদ, ঝকঝকে ছাপা,
চোখজুড়ানো অলংকরণ, সতেজ কাগজ ও ভিন্ন রকমের লেখায় সাজানো এ সংখ্যাটি। হাতে নিলেই মন ভরে যায়।
তাই তো পাঠকের হাতে হাতে নব ভাবনা। কেও পড়ছেন প্রবন্ধ, কেওবা গল্প। ছোট্ট শিশু ও কিশোর পাঠকের
হাতেও নব ভাবনা। কারণ, এতে রয়েছে শিশু কিশোর উপযোগী একটি বিভাগ—কিশোর আঙিনা। এ সংখ্যায়
লিখেছেন অনেক গুণীজন। তাঁদের পাশাপাশি রয়েছে আমার একটি লেখা। আছে প্রিয়জন তানভীর আহমেদ তমালের
একটি কবিতা। ফুরিয়ে যাওয়ার আগেই আপনার কপিটি সংগ্রহ করুণ।’
আলী হোসেন, লেখকও শিক্ষক, ময়মনসিংহ
‘অপেক্ষা শেষ হলো। হাতে পেলাম নব ভাবনা নদী সংখ্যা। এতে আমার একটি লেখা—কলমে ও ক্যামেরায় :
তিতাস একটি নদীর নাম এবং আমার মেয়ে রামিসার আঁকা ছবি—এই আমাদের নদী রয়েছে। ৩১২ পৃষ্ঠার
নান্দনিক এবং লেখায় লেখায় সমৃদ্ধ একটি সংখ্যা। অসাধারণ প্রিন্টিং। প্রচ্ছদ, বাঁধাই, অলংকরণ সবকিছুই
মনকাড়া। নব ভাবনার পথচলা শুভ হোক এই প্রত্যাশা।
হামিদা আঞ্জুমান, অধ্যাপক ও লেখক, নরসিংদী
‘প্রকাশিত হলো নব ভাবনা নদী সংখ্যা। সাহিত্য সাময়িকীর জগতে নব ভাবনার নান্দনিকতা এবং রুচিশীলতার
ছাপ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই ম্যাগাজিনে ছাপা হয়েছে অধমের একটি প্রবন্ধ। অনেক জ্ঞানীগুণী
লেখকের ভিড়ে আমার একটা লেখা যে স্থান করে নিয়েছে, এটাই অনেক। বাংলা সাহিত্যের প্রথিতযশা
কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন লিখেছেন প্রচ্ছদ প্রবন্ধটি। আরো অনেক গুণীজনের লেখা এবং ভাবনায় সমৃদ্ধ
এবারের নদী সংখ্যাটি। নব ভাবনা টিমকে অভিনন্দন এমন একটি কাজ সুচারুরূপে সম্পন্ন করার জন্য
শতাব্দী ভট্টাচার্য, লেখক ও চিকিৎসক, সুনামগঞ্জ
‘তর আর সইছিলনা। ঘরে ঢুকেই খামটা খুলে ফেললাম। চাহিদা মতো দুটি কপিই হাতে পেলাম। প্রচ্ছদটা
দেখেই চোখ দুটো জুড়িয়ে গেলো। ধন্যবাদ সোহাগ পারেভেজকে। ভেতরের পাতাগুলো উল্টাতেই মনটা বইয়ের
পাতাগুলোর মতো রঙিন হতে লাগলো। একটা একটা করে প্রতিটি পাতার হেড লাইন ও তার সাথে মিলিয়ে
ছবিগুলো দেখলাম।’
‘নি:সন্দেহে নব ভাবনা পত্রিকাটির কলাকুশলীদের ধৈর্য, সৃজনশীল চিন্তা ও রুচিশীলতা প্রশংসার
দাবিদার। পত্রিকাটিতে বৃদ্ধ, যুবক, কিশোর এবং শিশুদেরও অংশ গ্রহণ ছিল চোখের পড়ার মতো। আমাদের
এ নদী মাতৃক দেশে কজনইবা নদী নিয়ে গল্প, কবিতা, ছড়া, প্রবন্ধ ইত্যাদি লেখা পড়ি বা একসাথে কোথাও
পাই? সম্পাদক আব্দুল্লাহ অলিদকে ধন্যবাদ জানাই, তিনি এমন একটা চিন্তা মাথায় নিয়ে পত্রিকাটি
প্রকাশ করতে সক্ষম হয়েছেন।’
‘ঢাউস একটি পত্রিকা। ৩১২ পৃষ্ঠা। ঠিক এ বছরই বইমেলাতে আমার একটা উপন্যাস বের হয়েছিল
হাওলাদার প্রকাশনি থেকে—ভালোবাসার পাঞ্চক্লিপ। আমার বইটাও ছিল ৩২০ পৃষ্ঠার। যেহেতু
এতোগুলো পৃষ্ঠা লিখতে পেরেছি, অতএব পত্রিকাটি পড়তেও নিশ্চই পারবো। কথা দিলাম, আস্তে আস্তে
পুরো পত্রিকাটি পড়ব।’
ড. আ. ন. ম. এহছানুল মালিকী
‘অবশেষে হাতে পেলাম অনেক আশার ভালোবাসার সংখ্যাটি। একটুও বাড়িয়ে বলছি না। আমার এখনো সে
ভাষা জ্ঞান নেই, যে ভাষায় বললে নব ভাবনার নদী সংখ্যার সঠিক মুল্যায়ন প্রকাশ করা হবে…’
‘চোখ বুলাতে বইটির শুরুর দিকেই দেখলাম বিখ্যাত কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের প্রচ্ছদ প্রবন্ধ “
আমার দেখা নদী ” সেখানে লেখিকা তার জীবনের দেখা উল্লেখযোগ্য নদ নদীর স্মৃতিচারণ করেছেন। কত
গুলো নদ নদী এবং তার জলের রং জোয়ার ভাটার যে বর্ণনা তিনি দিয়েছেন। না পড়লে বুঝতেই পারবেন না
আসলে আমি কি বুঝাতে চেয়েছি। তার লেখা পড়লে মনে হয় নদ নদীর প্রতেকটা বর্ণনা যেন চোখের সামনে
ভেসে ওঠে…’