লেবানন থেকে প্রথম ধাপে সেনা প্রত্যাহার করেছে ইসরায়েল। যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে আল-খিয়াম শহর থেকে সেনা প্রত্যাহার করে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। বুধবার ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) এ তথ্য জানিয়েছে।
সেন্টকম এক বিবৃতিতে বলেছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে আল-খিয়াম শহর থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার এবং সেখানে লেবাননের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের প্রতিস্থাপনের সময় বাস্তবায়ন ও পর্যবেক্ষণ সদর দপ্তরে উপস্থিত ছিলেন সেন্টকমের নেতা জেনারেল এরিক কুরিলা।
সেন্টকম এক বিবৃতিতে বলেছে, সেন্টকমের নেতা জেনারেল এরিক কুরিলা যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে আল-খিয়াম শহর থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার এবং সেখানে লেবাননের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের প্রতিস্থাপনের সময় বাস্তবায়ন ও পর্যবেক্ষণ সদর দপ্তরে উপস্থিত ছিলেন।
সেন্টকমের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ সময় এরিক কুরিলা বলেন, শত্রুতার স্থায়ী অবসান নিশ্চিতে এটি প্রথম গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। সংঘাত বন্ধে এটি ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি বলেন, ‘যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে দক্ষিণাঞ্চলে সেনা মোতায়েনের প্রক্রিয়া শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে আজ (বুধবার) খিয়াম ও মারজায়ুন এলাকায় সেনা পাঠানোর বিষয়টি ছিল গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সেনাবাহিনীর এই প্রচেষ্টাকে স্যালুট জানাই।’
গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরায়েলি সেনাদের লড়াই চলছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে লড়াই তীব্র আকার ধারণ করে। ইসরায়েল আগে সীমান্তে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের মধ্যে লড়াই সীমিত রাখলেও সেপ্টেম্বরে স্থল অভিযান শুরু করে। এতে বিপুল পরিমাণ মানুষ নিহত ও আহত হন।
এরপর গত ২৭ নভেম্বর উভয় পক্ষের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ৬০ দিনের মধ্যে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দক্ষিণ লেবানন থেকে সম্পূর্ণভাবে সেনা প্রত্যাহার করে নেবে। সেখানে লেবাননের সেনাবাহিনী এবং জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হবে।
তবে উভয় পক্ষই একে অপরের ওপর বারবার এই চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ করে আসছে।