নড়াইল, ২১ ফাল্গুন (৬ মার্চ):

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার চাপুলিয়া বাবুচ্ছুন্নাৎ দাখিল মাদ্রাসার শুন্য
পদে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে গত ২৬ ফ্রেরুয়ারি
তারিখে জয়পুর আলীম মাদ্রাসার নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। নিয়োগ
স্বচ্ছতার লক্ষ্যে নিয়োগ বোর্ডের সদস্যবৃন্দের উপস্থিতে প্রশ্নপত্র তৈঁরি
করেন। প্রতি প্রশ্ন প্রত্রের নীচে নিয়োগ বোর্ডের সকল সদস্যরা স্বাক্ষর
করেন।

লিখিত অভিযোগ পত্র সুত্রে জানা গেছে, চাপুলিয়া গ্রামের আব্দুর
রউফ মোল্যার ছেলে মো: আবু হুরাইরা লিখিতও মৌখিক পরীক্ষায় প্রথম স্থান
অধিকার করেন। যাহা ডিজির প্রতিনিধির উপস্থিতে নিয়োগ বোর্ডের
সকল সদস্য ও জয়পুর আলীম মাদ্রাসার সভাপতি মোঃ কামাল ভুইঁয়া উপজেলা
ভাইচ-চেয়ারম্যান লোহাগড়া এবং পরীক্ষায় অংশ গ্রহনকারী সকল পরীক্ষাথী
এবং সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে ফলাফল ঘোষনা করেন। এ সময় প্রথম স্থান
অধিকারকারী মোঃ আবু হুরাইরাকে নিয়োগের জন্য নিয়োগ বোর্ড
সুপারিশ করেন। কিন্তু অত্র মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ
মিরাজ বিশ্বাস ওই প্রতিষ্ঠানের সুপার মোঃ আব্দুল হক নিয়োগ পত্র
গ্রহনের জন্য ১২ লক্ষ টাকা তার নিকট দাবী করেন। কিন্ত আমি গরীব
পরিবারের সন্তান, আমার পক্ষে ১২ লাখ টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। টাকা দিতে
অস্বীকার করলে আমার নিয়োগ পত্রের জন্য প্রতিষ্ঠানের সভাপতি মো মিরাজ
বিশ্বাস গত ৫ মার্চ তারিখে এশার নামাজের পর আমার বাবাকে অত্র
মাদ্রাসার মাঠে ডেকে নিয়ে বলে, নিয়োগ নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা
নিলে আপনার এলাকা ত্যাগ এমন কি খুন করার হুমকি দেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন একই গ্রামের মোল্যা মনিরুজ্জামান, মোল্যা নিজাম উদ্দিন,
গোলাম মোস্তফাসহ ৪/৫ জন। এ ঘটনায় আবু হুরাইর পিতা মোঃ আব্দুল হক
বাদী হয়ে লোহাগড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ।

এ দিকে চাপুলিয়া বাবুচ্ছুন্নাৎ দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোঃ আবদুল হকের সাথে যোগাযোগ (০১৭২৬৩৪৪০১২) করলে তিনি বলেন, টাকার
কোন কথা হয়নি বলেই ফোনটি কেটে দেন ।

এ ব্যাপারে লোহাগড়া থানার কোটাকোল ইউনিয়নের পুলিশ বিট
অফিসার এস আই বাবুল বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে আইনগত
ব্যবস্থা নেব ।