সরদার রইচ উদ্দিন টিপু, লোহাগড়া, নড়াইল, ২৯ শ্রাবণ (১৩ আগস্ট) :

নড়াইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম কামরুজ্জামান বলেন, ইউনিয়ন
পরিষদের ও পুলিশ ফাঁড়ির সরকারি জমি কেউ দখল নিতে পারবেনা। উপজেলার ১১
নং ইতনা ইউনিয়ন পরিষদের পুলিশ ফাড়ির জমি দখলের জন্য জমির সীমানার
পিলার তুলে ফেলেন চরদৌলতপুর গ্রামের নজরুল ইসলাম নাগারছি।

গত শুক্রবার (১২ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে নড়াইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস
এম কামরুজ্জামান সরেজমিনে পুলিশ ফাঁড়ির জায়গা ঘুরে দেখেন। ইতনার
ইউনিয়নের দৌলতপুর মৌজার ১৩১০ দাগে ৬৫ শতক ও ১৩১১ দাগে ২৯ শতক
দুই দাগের মোট ৯৪ শতক জমির মধ্যে ৪৭ শতক জমি উল্লেখিত জমির
মালিকগণ ধলা বাদ্যকর, নীশি কান্তি , যোগেস্বর ও তাদের ওয়ারিশ গণ দলিল
মুলে ৪৭ শতক জমি ইতনা ইউনিয়ন পরিষদ ও ইতনা পুলিশ ফাঁড়ির জন্য দান
করেন। পুলিশ ফাঁড়ির অনুমোদন হলে ইতনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ
শিহানুক রহমান,লোহাগড়া পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা ও স্থানীয়
গন্যমান্য ব্যাক্তি ও জমির বর্তমান মালিকদের উপস্থিতিতে জমির মাপ জোক
হয়ে সীমানা নির্ধারণ করা হয়। চরদৌলতপুর গ্রামের ধলা বাদ্যকরের ছেলে
নজরুল ইসলাম নাগারছি সহ স্থানীয় একটি কুচক্রী মহল চেয়ারম্যান ও
পুলিশের বিরুদ্ধে জমি দখল ও তাদের পরিবারকে মারপিটের অভিযোগ করে
বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছে। এ ঘটনার অভিযোগ পেয়ে নড়াইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম কামরুজ্জামান সরেজমিনে ঘটনার স্থলে এসে তদন্ত করে দেখেন অভিযোগ কারীরাই ওই জায়গা দখলে রাখতে চায়।

তিনি আরও বলেন ইউনিয়ন পরিষদ ও বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীকে জমি দান করেছেন
সেই জমি ব্যাক্তি মালিকানায় যেতে পারে না এবং ব্যাক্তিগত কেউ দখল নিতে
পারবে না। আমরা আমাদের পুলিশ ফাঁড়ির জমি ভোগ দখল করবো।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামীলীগের
যুগ্ন-সস্পাদক শেখ সিহানুক রহমান,মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল ফকির, আবুল
বাশার মোল্যা, ইউপি সদস্য শাহাদুল হোসেন শেখ সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তি ও জমির
মালিকগণ।