ঢাকা, ১১ অগ্রহায়ণ (২৬ নভেম্বর) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ২৭ নভেম্বর ‘শহিদ ডাঃ মিলন দিবস’
উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন:
“১৯৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম পেশাজীবী নেতা ডা. শামসুল আলম
খান মিলন- এর ৩১তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।
ডা. মিলন ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষক এবং বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের
তৎকালীন যুগ্ম-মহাসচিব ছিলেন। তিনি ১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর বাংলাদেশ মেডিকেল
এসোসিয়েশনের একটি সভায় যোগ দিতে যাওয়ার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায়
ঘাতকদের গুলিতে শহিদ হন।
তখনকার স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ডা. মিলনের আত্মত্যাগ নতুন গতি সঞ্চারিত
করে। সেদিনই দেশে জরুরি আইন ঘোষণা করা হয়। কিন্তু জরুরি আইন, কারফিউ উপেক্ষা করে
ছাত্র-জনতা মিছিল নিয়ে বারবার রাজপথে নেমে আসে। অবশেষে স্বৈরশাসকের পদত্যাগের
মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়।
ডা. মিলন ছাড়াও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের এই সংগ্রামে যুবলীগ নেতা নূর হোসেন, নূরুল
হুদা, বাবুল, ফাত্তাহসহ অগণিত গণতন্ত্রকামী মানুষের রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল ঢাকাসহ
দেশের বিভিন্ন এলাকার রাজপথ। তাঁদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত
হয় ভোট ও ভাতের অধিকার। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় তাঁদের অবদান জাতি চিরদিন গভীর
শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।
আমি ডা. শামসুল আলম খান মিলন- এর আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক”