ঢাকা, ২ মাঘ (১৬ জানুয়ারি) :

আজ রবিবার সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাকের সাথে ঢাকায় নিযুক্ত
মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর. মিলার (Earl R. Miller) বিদায়ি সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতকালে
দুদেশের কৃষি, অর্থনীতি, বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক বিভিন্ন ইস্যু এবং সাম্প্রতিক মার্কিন
নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আলোচনা হয়। এসময় মার্কিন দূতাবাসের এগ্রিকালচারাল অ্যাটাচে মেগান
ফ্রান্সিস উপস্থিত ছিলেন।

সাক্ষাতকালে দেশের কৃষি উৎপাদনের অভাবনীয় সাফল্যের কথা তুলে ধরে কৃষিমন্ত্রী
বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কৃষিখাতে সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। ইউএসএ বাংলাদেশের
কৃষি গবেষণা সিস্টেম (এনএআরএস) উন্নয়নে বেশ সহযোগিতা করেছে। বাংলাদেশ গত ৫০ বছরে
কৃষি উৎপাদনে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে।

মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর. মিলার বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কৃষিখাতে
গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান। দুদেশের মধ্যে কৃষি বাণিজ্য অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ এখন
যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি পণ্যের ২৬তম বাজার। সামনের দিনগুলোতে কৃষিখাতে সম্পর্ক ও সহযোগিতা
আরো বৃদ্ধি পাবে।

রাষ্ট্রদূতের সাথে সাক্ষাৎ শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন। এসময়
মন্ত্রী রাষ্ট্রদূতের মন্তব্য উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর
কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি বাংলাদেশকে শাস্তি দেয়ার জন্য নয়,
সতর্ক করার জন্য করা হয়েছে। আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের বিষয়ে
নিষেধাজ্ঞা দেয়া এবং উত্তর কোরিয়া ও মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশকে একইভাবে বিবেচনা করা
খুবই দুঃখজনক বলে আমি তাঁদের জানিয়েছি।

কৃষিমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ সফলভাবে জঙ্গি দমন করতে পেরেছে বলে তাঁরা প্রশংসা
করেছেন। তাঁদের ধারণা কিছু কিছু ক্ষেত্রে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে। সেটার উন্নতি হওয়া
দরকার। তাঁরা আশা করেন এটা হবে। মন্ত্রী বলেন, আমি তাঁদের জানিয়েছি, আমাদের দেশে
মানবাধিকার পরিস্থিত ভাল। মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেনি। কিছু জায়গায়
আইনশৃঙ্খলাবাহিনী হয়তো ভুল করেছে, সেজন্য ১৯০ জন র‌্যাব কর্মকর্তার শাস্তি
হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে  রাষ্ট্রদূত যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে  সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সাথে কথা বলবেন
বলে আশ্বাস দেন, যাতে দ্রুত এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়।

নারায়ণগঞ্জ নির্বাচন বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. আব্দুর রাজ্জাক
বলেন, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হচ্ছে। সারাদেশই তাকিয়ে আছে। সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ানোর

জন্য আমরা মনে করি নির্বাচনটা সুন্দর ও সুষ্ঠু হওয়া উচিত। কোনো অবস্থাতেই এই নির্বাচনে
যাতে কোনো ত্রুটি না থাকে, সমালোচনার সুযোগ না থাকে, সেটিই আমরা আশা করছি। তিনি বলেন,
নির্বাচনে যে ফল আসবে সেটা যদি আমাদের বিরুদ্ধেও যায়, তা আমরা গ্রহণ করবো। একটা সিটি
নির্বাচনে হেরে গেলে কিছু যায়-আসে না। কিন্তু জনগণের বিজয় হবে।