শাহজালাল বিমানবন্দরে পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকা ১২টি বিমান নিলামে উঠছে, দাম না পেলে বেচা হবে কেজি দরে
সাইয়েদা আক্তার
বিবিসি বাংলা, ঢাকা
১২ জুলাই ২০২১
রানওয়েতে পার্ক করে রাখা বিমান
ছবির উৎস, GETTY IMAGES
ছবির ক্যাপশান,
রানওয়েতে পার্ক করে রাখা বিমান—ফাইল ফটো
বাংলাদেশে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা ১২টি প্লেন শীঘ্রই নিলামে তোলা হবে।
এই বিমানগুলো দেশের বন্ধ হয়ে যাওয়া কয়েকটি বেসরকারি সংস্থার উড়োজাহাজ।
কর্তৃপক্ষের কাছে দীর্ঘদিন যাবত বিমানবন্দরের পার্কিং ফি সহ নানারকম বকেয়া রয়েছে এই প্রতিষ্ঠানগুলোর।
কর্তৃপক্ষ বলছে, শীঘ্রই এই নিলাম অনুষ্ঠিত হবে।
বিজ্ঞাপন

তবে সেখানে কাঙ্ক্ষিত দাম না পেলে কেজি দরে বিক্রি করে দেয়া হবে প্লেনগুলো।
কেন নিলামে উঠছে বিমান?
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এসএম তৌহিদুল আহসান বিবিসিকে বলেছেন, এই মূহুর্তে মোট ১২টি এয়ারক্রাফট বিমানবন্দরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।
আরো পড়তে পারেন:
কোন কোন দেশে বিমান চলাচল সবচেয়ে বিপদজনক?
বিমান চলাচল নিষিদ্ধের তালিকায় রদবদল, যেসব দেশে যাওয়া-আসা যাবে না
বিমান ভ্রমণে করোনাভাইরাসের টিকা বাধ্যতামূলক করতে চাপ
মহাশূন্য ভ্রমণ শেষে পৃথিবীতে ফিরে এলেন রিচার্ড ব্র্যানসন
এর মধ্যে ১০টি বিমান গত আট বছর ধরে কার্গো-ভিলেজের জায়গা দখল করে আছে।
তিনি বলেছেন, “এই বিমানগুলোর রেজিস্ট্রেশন আগেই বাতিল করেছে বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ। বিমানবন্দর থেকে তাদের উড়োজাহাজ সরিয়ে নেয়ার জন্য নোটিশও দেয়া হয়েছে একাধিকবার। কিন্তু তারা নিজেদের বিমান সরায়নি বা জবাবও দেয়নি।”
“তাদের কাছে পাওনা অর্থও তারা পরিশোধ করেনি বারবার তাগাদা দেয়া সত্ত্বেও।”
এখন সিভিল এভিয়েশন আইন অনুযায়ী পরিত্যক্ত বিমানগুলো বাজেয়াপ্ত করে, দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিলাম আয়োজন করা হবে।
কেবল বকেয়া আদায় নয়, নিলামের আরেকটি কারণ বিমান বন্দরে নিজস্ব জায়গা বাড়ানো।
এই মূহুর্তে বিমান বন্দরে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণের কাজ চলছে।
জিএমজি এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট
ছবির উৎস, GETTY IMAGES
ছবির ক্যাপশান,
২০১২ সালে জিএমজি তাদের আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট স্থগিত করে
তার জন্যেও কার্গোর ওই জায়গাটি খালি করা দরকার বিমানবন্দরের।
সে কারণেই কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিলাম আয়োজন করা হবে।
এবং কাঙ্ক্ষিত দাম না পেলে প্রয়োজনে কেজি দরে বিক্রি করে দেয়া হবে প্লেনগুলো।
কী বিমান নিলামে উঠছে?
এই মূহুর্তে যেসব বিমান পড়ে আছে তার মধ্যে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের আটটি, রিজেন্ট এয়ারওয়েজের দুইটি, জিএমজি এয়ারলাইন্স ও এভিয়েনা এয়ারলাইন্সের একটি করে প্লেন পড়ে আছে।
এই ১২টি প্লেনের পার্কিং চার্জ ও সারচার্জ বাবদ প্রায় ৮০০ কোটি টাকার মতো বকেয়া রয়েছে।
এর মধ্যে সর্বোচ্চ বকেয়া জিএমজি এয়ারলাইন্সের কাছে। এই প্রতিষ্ঠানের কাছে ৩৬০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের।