ঢাকা, ১২ আষাঢ় (২৬ জুন) :
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন বলেছেন, শিক্ষাই জাতির
সার্বিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির চাবিকাঠি এবং দক্ষ মানব-সম্পদ উন্নয়নের ভিত্তি হিসেবে
বিবেচিত। এ সত্যকে উপলব্ধি করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৩৬ হাজার
১৬৫টি বিদ্যালয় ও ১লাখ ৫৭ হাজার ৭২৪ জন শিক্ষককে জাতীয়করণ করেন। এর
ধারাবাহিকতায় তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষকসহ ২৬ হাজার ১৯৩
টি বেসরকারি বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করেন। 
প্রতিমন্ত্রী আজ শেরেবাংলা নগরে এলজিইডি ভবনে রিচিং আউট -অভ্ -স্কুল
চিলড্রেন (রস্ক) ফেইজ-২ এর অর্জনসমূহের পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায়
এসব কথা বলেন। 
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আবদুর রশিদ
খানের  সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন  প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের
মহাপরিচালক আলমগীর মুহাম্মদ মনসুরুল আলম, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের
অতিরিক্ত সচিব রতন চন্দ্র পন্ডিত এবং রস্ক প্রকল্প পরিচালক মোঃ মাহবুব হাসান
শাহীন। এলজিইডি ও ডিপিই যৌথভাবে  এ পর্যালোচনার সভার আয়োজন করে। 
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার  প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে  বিনামূল্যে
পাঠ্যপুস্তক বিতরণসহ শিক্ষকদের নানাবিধ প্রশিক্ষণ প্রদান করে আসছে। শিক্ষার্থীদের
মানসিক বিকাশ ও শারীরিক পুষ্টিমান বৃদ্ধির লক্ষ্যে দারিদ্র্যপ্রবণ এলাকায় অসহায়
শিক্ষার্থীদের মাঝে  উচ্চ পুষ্টিমান সমৃদ্ধ বিস্কুটসহ রান্না করা খাবার  পরিবেশন করে
যাচ্ছে। ঝরেপড়া রোধ ও অতিদরিদ্র পরিবারের সন্তান যারা প্রাথমিক শিক্ষাচক্র সম্পন্ন
করতে পারেনি, সেসব  শিশুদের জন্য শিক্ষার দ্বিতীয় সুযোগ  সৃষ্টি ও কারিগরি শিক্ষা
প্রদান করেছে রস্ক প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে উদ্যোক্তার সৃষ্টি হবে যারা
নিজেদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করাসহ অন্যের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।
প্রতিমন্ত্রী আরো  বলেন, চলমান কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতি সত্ত্বেও
প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার লক্ষ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে

শিক্ষার্থীদের পাঠচর্চা ও পাঠে মনোযোগী রাখার উদ্দেশ্যে  সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশনের
মাধ্যমে ‘ঘরে বসে শিখি’ পাঠদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে এবং পাশাপাশি বাংলাদেশ বেতার
ও দেশের সকল কমিউনিটি রেডিও এর মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রমও চলমান রয়েছে।
এছাড়া ইতোমধ্যে জুম ও গুগল মিটের মাধ্যমে অনলাইন ক্লাসও শুরু হয়েছে এবং
শিক্ষার্থীদের ঘরে ঘরে ওয়ার্কশিট পৌঁছে দেওয়ার কার্যক্রমও চলমান রয়েছে।